নয়াদিল্লি: দিল্লির তথত কার দখলে যাবে? তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল? নাকি বুথফেরত সমীক্ষা সত্য করে ক্ষমতা দখল করবে বিজেপি৷ আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোর টক্কর চলছে বিজেপির। খাতায়কলমে লড়াইয়ে আছে কংগ্রেসও। তবে এখনও সে ভাবে নজর কাড়তে পারেনি হাত শিবির৷ গত ৫ ফেব্রুয়ারি এক দফায় ভোট হয়ে গিয়েছে। শনিবার শুরু হয়েছে ভোট গণনা৷
গণনার শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিল বিজেপি৷ প্রথম দিকে বেশ ভালো অবস্থানে ছিল। তবে কিছুক্ষণ পরেই আপ (আম আদমি পার্টি) ধীরে ধীরে এগোতে শুরু করে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং মণীশ সিসোদিয়া দু’জনেই প্রথমে পিছিয়ে থাকলেও, পরে তাঁরা এগিয়ে যান। শেষ পাওয়া খবরে ফের পিছিয়ে গিয়েছেন কেজরি৷ কালকাজি আসনে এগিয়ে গিয়েও ফের পিছনে আতিশী৷ তাঁকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী রমেশ বিধুরী।
প্রথম ৩০ মিনিটের ট্রেন্ড অনুযায়ী, বিজেপি ৪২টি আসনে এগিয়ে ছিল, আর আপ ২৫টি আসনে এগিয়ে ছিল। নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফল থেকে স্পষ্ট যে, বিজেপি দিল্লিতে দীর্ঘদিনের “জিঙ্কস” ভাঙার চেষ্টা করছে এবং ডাবল ইঞ্জিন সরকারের দিকে এগোচ্ছে৷ অন্যদিকে আপ তাদের বর্তমান সরকারের মেয়াদ নিশ্চিত করতে লড়ছে। এখনও পর্যন্ত ৪২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির৷ ২৮টি আসনে এগিয়ে আপ৷
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ৫টি গুরুত্বপূর্ণ আসন
১. নিউ দিল্লি
নিউ দিল্লি আসনে সবচেয়ে বেশি নজর ছিল। এখানে আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল, বিজেপির পারভেশ ভার্মা এবং কংগ্রেসের সঞ্জীব দীক্ষিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২০১৩ সাল থেকে কেজরীওয়াল এই আসনটি ধরে রেখেছেন এবং ২০২০ সালে তিনি বিজেপির সুনীল কুমার যাদবকে ২১,৬৮৭ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। এবারও কেজরীওয়ালের নেতৃত্বে আপ এই আসনটি ধরে রাখার চেষ্টা করছে।
২. কালকাজি
অরবিন্দ কেজরীওয়াল এই আসন থেকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, যেখানে বিজেপির রমেশ বিধুরি এবং আপ প্রার্থী আজতিশি রয়েছেন। প্রথমে কেজরীওয়াল কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও, তার সমর্থকরা আশাবাদী যে, তিনি শেষ পর্যন্ত জয়ী হবেন।
৩. জাংপুড়া
মণীশ সিসোদিয়া এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রথম দিকে তিনি কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও, তার অবস্থানও দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে।
ভোটদানের পরিস্থিতি
৮ ফেব্রুয়ারি সকালে দিল্লি এক রাজনৈতিক উত্তেজনায় ছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা মন্দিরে গিয়ে পুজো দিতে গিয়ে নির্বাচনে তাদের সমর্থন লাভের জন্য প্রার্থনা করেন। আপ নেত্রী আজতিশি বলেছিলেন, “অরবিন্দ কেজরীওয়াল চতুর্থবারের মতো দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হবেন।”
এছাড়া, দিল্লির ৭০টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছিল, যেখানে ৬০.৫৪ শতাংশ ভোটদান হয়েছিল। এই সংখ্যা দিল্লির রাজনৈতিক উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল পুরোপুরি স্পষ্ট না হলেও, এই নির্বাচনে রাজনীতির মঞ্চে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা গেছে। বিজেপি, আপ এবং কংগ্রেসের মধ্যে মুখোমুখি লড়াই যে নতুন রাজনৈতিক দিশা দেখাবে, তা সময়ই বলবে।