প্রিয়াঙ্কার কাছে পরাজিত বিজেপির নব্যা ভোটের ফলাফলে সন্তুষ্ট নন, দ্বারস্থ আদালতের

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) (BJP) নেতা নব্যা হারিদাস  (Navya Haridas) কেরালা হাই কোর্টে (Kerala High Court) আবেদন করেছেন কংগ্রেসের প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভদ্রাকে (Priyanka Gandhi) কেরালার…

BJP Leader Navya Haridas Who Lost To Priyanka Gandhi Challenges the Election result of By poll 2024

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) (BJP) নেতা নব্যা হারিদাস  (Navya Haridas) কেরালা হাই কোর্টে (Kerala High Court) আবেদন করেছেন কংগ্রেসের প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভদ্রাকে (Priyanka Gandhi) কেরালার ওয়ায়ানাদ লোকসভা আসনে গত মাসের উপনির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার বিরুদ্ধে। এই আবেদনটি মূলত প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভদ্রার নির্বাচনী ফলাফলের বৈধতা নিয়ে। 

পরীক্ষা থেকে বাঁচতে স্কুলে বোমাতঙ্ক ছড়াচ্ছে পড়ুয়ারাই, দাবি দিল্লি পুলিশের

   

গত ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে কংগ্রেস নেতা প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভদ্রা তার প্রথম নির্বাচনী যাত্রায় ওয়ায়ানাদ আসন থেকে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন। প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভদ্রা এই আসনটি জিতেছেন তার কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বীকে ৫ লাখেরও বেশি ভোটে হারিয়ে। উল্লেখযোগ্য যে, এটি ছিল তার রাজনৈতিক জীবনের প্রথম নির্বাচন, এবং এই নির্বাচনে তার জয়ের মাধ্যমে তিনি রাজনীতিতে তার উপস্থিতি শক্তিশালীভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভদ্রার এই নির্বাচনী সফলতার পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল তার জনপ্রিয়তা এবং তার দল কংগ্রেসের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা সম্পর্কের ভিত্তি। তার ভাই রাহুল গান্ধী এই আসনটি ছেড়ে দেওয়ার পর প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভদ্রা এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু করেন। রাহুল গান্ধী, যিনি আগে এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের রায় বরেলি আসন রেখে ওয়ায়ানাদ আসনটি ছেড়ে দেন। ফলে এই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন লেনিন

এদিকে, বিজেপি নেতা নব্যা হারিদাস প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভদ্রার নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন এবং কেরালা হাই কোর্টে আবেদন করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া সঠিকভাবে অনুসৃত হয়নি এবং এর ফলে ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। নব্যা হারিদাস দাবি করছেন যে নির্বাচনী বিধি অনুসরণে কোনও ধরনের অস্বচ্ছতা এবং অসঙ্গতি ঘটেছে, যা নির্বাচনের ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে।

এছাড়া, বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভদ্রার নির্বাচনী প্রচার ও প্রচারণার সময় নির্বাচনী বিধির প্রতি যথাযথ সম্মান দেখানো হয়নি। এর ফলে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সুষ্ঠুতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে কংগ্রেস পক্ষ থেকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে এবং তারা দাবি করেছেন যে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভদ্রা নির্বাচন করেছেন সুষ্ঠু ও আইনানুগভাবে, এবং এই নির্বাচনে জনগণের সমর্থন ও আস্থা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

এখন কেরালা হাই কোর্টের ওপর নির্ভর করছে, তারা এই মামলায় কী ধরনের সিদ্ধান্ত নেবে। নির্বাচনী ফলাফলের বিরুদ্ধে করা এই আবেদনটি রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, কারণ এটি কেবল কেরালা রাজ্য নয়, দেশজুড়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং ন্যায়বিচারের ওপর আলোকপাত করবে।

পরীক্ষা থেকে বাঁচতে স্কুলে বোমাতঙ্ক ছড়াচ্ছে পড়ুয়ারাই, দাবি দিল্লি পুলিশের

এই মামলার ফলাফল কংগ্রেসের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে, যদিও তারা তাদের জয়ের পক্ষে আত্মবিশ্বাসী। অন্যদিকে, বিজেপি এবং নব্যা হারিদাস আশা করছেন যে আদালত নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও সংশোধনী আনবে, যা ভবিষ্যতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা এবং সঠিকতা নিশ্চিত করবে।