জর্জ সোরোস (George Soros) ইস্যুতে আরও বেকায়দায় পড়ল কংগ্রেস (Congress)। বিজেপি (BJP) রবিবার অভিযোগ করেছে যে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) সঙ্গে এমন একটি সংস্থার যোগসূত্র রয়েছে যা জর্জ সোরোস ফাউন্ডেশন (George Soros Foundation) দ্বারা অর্থায়িত। ওই সংস্থাটি কাশ্মীরকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে সমর্থন করার ধারণা প্রচার করেছে। শাসক দলের দাবি, এই সংযোগ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি শক্তির প্রভাবকে নির্দেশ করে। একাধিক পোস্টে এই মন্তব্য করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ঢাকা-দিল্লির কূটনৈতিক সংঘাত আবহে বিদেশ সচিবের বাংলাদেশ সফর, একান্ত বৈঠকে ফয়সালা?
এই প্রসঙ্গে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন (Kiren Rijiju) রিজিজু আজ এই অভিযোগকে “গুরুতর” এবং “উদ্বেগজনক” বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা সংসদ পরিচালনা করতে চাই। আমি এটা স্পষ্ট করতে চাই যে কিছু বিষয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে, কিন্তু যদি ভারতের বাইরে থেকে কোনও শক্তি ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এবং দেশের বিরুদ্ধে কাজ করে, তবে তা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।” তিনি এই মন্তব্য করেন শীতকালীন অধিবেশনের শুরুর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে।
This thread underlines a connection between the Congress party and George Soros, implying their shared goal of diminishing India’s growth.
Sonia Gandhi, as the Co-President of the FDL-AP Foundation, is linked to an organisation financed by the George Soros Foundation.
Notably,… pic.twitter.com/q9mrJ1lY3h
— BJP (@BJP4India) December 8, 2024
কিরেন রিজিজুর বক্তব্য থেকে বোঝা যায় যে, শাসক দল এই অভিযোগকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে। বিজেপির দাবি, সোনিয়া গান্ধীর এই কথিত সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং একতা রক্ষার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। যদিও কংগ্রেস এই ধরনের অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছে এবং এটিকে শাসক দলের রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে বর্ণনা করেছে।
শিগগির দলের অন্তিম সংস্কার করবেন রাহুল: কংগ্রেস নেতা
কাশ্মীর নিয়ে বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপ বরাবরই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। বিজেপির মতে, কাশ্মীরকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখার ধারণা জাতীয় নিরাপত্তার উপর সরাসরি আঘাত হানে। তাদের মতে, এই ধরনের প্রচার শুধুমাত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলিকে উৎসাহিত করে না, বরং আন্তর্জাতিক স্তরেও ভারতের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে।
অন্যদিকে, কংগ্রেস শাসক দলের এই অভিযোগকে অমূলক বলে দাবি করেছে। তাদের মতে, বিজেপি এই ধরনের বক্তব্য তুলে ধরে সংসদের আসন্ন অধিবেশনের আসল ইস্যুগুলি থেকে দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা করছে। কংগ্রেস নেতাদের মতে, সরকারকে জনগণের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা, যেমন মূল্যবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান এবং কৃষি সমস্যার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিতর্ক শুধুমাত্র রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি কূটনৈতিক স্তরেও বড় প্রশ্ন তুলে ধরেছে। বিদেশি সংস্থাগুলির আর্থিক মদতপ্রাপ্ত প্রচার এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
পিছনে উর্দু-রাশিয়ান-পর্তুগীজ, বিশ্বের দরবারে এগিয়ে বাংলা ভাষা
এই পরিস্থিতিতে, সংসদের শীতকালীন অধিবেশন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। সংসদে এই বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শাসক দল এবং বিরোধী পক্ষ একে অপরের উপর দোষারোপ করলেও, সাধারণ মানুষের আশা যে দেশের সার্বভৌমত্ব এবং একতাকে রক্ষা করার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিজেপির এই অভিযোগ এবং কিরেন রিজিজুর মন্তব্য ভারতীয় রাজনীতির বর্তমান পরিবেশকে আরও জটিল করে তুলেছে। বিদেশি সংস্থাগুলির ভূমিকা এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাদের প্রভাব নিয়ে জাতীয় স্তরে আলোচনা ক্রমশই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
BJP: The Congress has found itself in further trouble over the George Soros issue. The BJP alleged on Sunday that former Congress president Sonia Gandhi has links to an organization funded by the George Soros Foundation. This organization is said to have supported the idea of Kashmir as an independent nation. The ruling party claims this connection highlights foreign influence in India’s internal affairs, as mentioned in multiple social media posts.