কর্ণাটকের বেলাগাভিতে কংগ্রেসের (Congress party) একটি বেড়ানো প্যানেল দেখে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, কারণ সেই প্যানেলগুলিতে ভারতের বিকৃত মানচিত্র প্রদর্শিত হয়েছিল। এই ঘটনায় বিজেপি তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এবং কংগ্রেসকে “লজ্জাজনক” বলে আক্রমণ করেছে। তারা দাবি করেছে যে কংগ্রেস মার্কিন বিনিয়োগকারী জর্জ সোরোসের সঙ্গে আঁতাত করে দেশের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়।
চিনকে রুখতে দাওয়াই, এবার ভারত মহাসাগরে দাপিয়ে বেড়াবে মিশাইল ডেস্ট্রয়ার INS Surat
বিজেপি (BJP) কংগ্রেসের(Congress party) এই আচরণকে ভারতের সার্বভৌমত্বের প্রতি অবজ্ঞা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তাদের দাবি, প্যানেলগুলিতে ভারতের মানচিত্রের কিছু অংশ, বিশেষ করে জম্মু ও কাশ্মীরের একটি অংশ অনুপস্থিত ছিল। এই ধরনের মানচিত্র দেখানোর মাধ্যমে কংগ্রেস দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এটি ঘটেছিল যখন কংগ্রেস দল বেলাগাভিতে তাদের কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (CWC) সভা আয়োজন করছিল, যা মহাত্মা গান্ধী কর্তৃক সভাপতিত্বকৃত বেলগাঁও অধিবেশনের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কংগ্রেসের এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে এমন একটি বিতর্কিত মানচিত্র প্রদর্শন, তাদের আন্দোলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করেছে।
বিজেপি এই ঘটনাকে একটি জঘন্য ত্রুটি হিসেবে তুলে ধরেছে এবং কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে তারা সোরোসের মতো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কাজ করছে, যারা ভারতের নীতি ও নিরাপত্তাকে অস্থিতিশীল করতে চায়। বিজেপি নেতারা এও বলেন যে, কংগ্রেসের এমন কাজ দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেয় এবং এটি দেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্বের প্রতি গভীর অসন্মান।
কংগ্রেসের ম্যাপে বাদ অধিকৃত কাশ্মীর-আকসাই চিন
এদিকে, কংগ্রেস দল এই বিতর্কের বিরুদ্ধে সাফাই দিতে তৎপর হয়েছে। তারা দাবি করেছে যে এটি একটি সাধারণ ভুল এবং কোনো উদ্দেশ্য প্রণোদিত কর্মকাণ্ড ছিল না। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে প্যানেলটি একটি ডিজাইন ত্রুটির কারণে এমনভাবে তৈরি হয়েছিল, এবং এটি চিরকালীন মনোভাবের প্রতিনিধিত্ব করে না। তবে, বিজেপি এই ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে প্রস্তুত নয় এবং তারা পুনরায় কংগ্রেসের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে।
এই বিতর্কটি রাজনৈতিক দুনিয়ায় ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে বিভিন্ন পক্ষ নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। দেশের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন ওঠার কারণে এটি আরও তীব্র হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, দলের মধ্যে দ্বন্দ্বের পরিপ্রেক্ষিতে সামনের দিনগুলোতে এই ঘটনাটি আরও বৃহত্তর রাজনৈতিক ঝড় সৃষ্টি করতে পারে।
এছাড়া, এই ঘটনাটি ভারতীয় রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একে অপরকে আক্রমণ করার পাশাপাশি দেশের সার্বভৌমত্ব ও ঐক্যের প্রশ্নও সামনে উঠে এসেছে। বিশেষত জম্মু-কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের মতো সংবেদনশীল অঞ্চলের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো বিতর্ক জাতীয় স্বার্থের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।