চন্দ্রবাবুর ‘খেলা’য় ঘুম ওড়ার জোগার মোদীর! দেখা করতে চান কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে

সংসদে বিরোধীদের চাপ টের পেতে শুরু করেছে শাসক শিবির। তড়িঘড়ি জবাব দিতে আসরে নামছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এর মধ্যেই পদ্ম শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন জোট শরিক টিডিপি…

modi government with chandra babu naidu

সংসদে বিরোধীদের চাপ টের পেতে শুরু করেছে শাসক শিবির। তড়িঘড়ি জবাব দিতে আসরে নামছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এর মধ্যেই পদ্ম শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন জোট শরিক টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডু। অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ঘটা করে জানিয়েছেন যে, পড়শি রাজ্য তেলেঙ্গানার কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান তিনি। এখানেই থামেননি দক্ষিণী এই পোড়খাওয়া নেতা। অভিনব কায়দায়, চন্দ্রবাবু নাইডু (Chandrababu Naidu) নিজেই নিজেকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির (Revanth Reddy) বাড়িতে!

তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডির বাড়িতে দেখা করতে যেতে চান অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। আগামী ৬ জুলাই রেবন্ত রেড্ডির বাড়িতে হবে এই সাক্ষাৎকার।

মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু চিঠিতে লিখেছেন, ‘অন্ধ্র প্রদেশ ভেঙে দু’ভাগ হওয়ার ১০ বছর অতিক্রান্ত। পুনর্গঠন আইনের অধীনে একাধিক বিষয় নিয়ে দুই রাজ্য়ের মধ্যে বহুবার আলোচনাও হয়েছে, যা আমাদের দুই রাজ্যেরই উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বন্ধুত্বপূর্ণভাবে আমাদের এই বিষয় নিয়ে আলোচনা অপরিহার্য। সেই মর্মেই আমি আগামী ৬ জুলাই, শনিবার দুপুরে আপনার বাড়িতে সাক্ষাতের প্রস্তাব দিচ্ছি। আমার বিশ্বাস, মুখোমুখি আলোচনায় আমাদের জটিল বিষয়গুলি নিয়ে আরও ভালভাবে আলোচনা করতে এবং অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলঙ্গানার জন্য লাভজনক সিদ্ধান্ত নিতে বিশেষ কার্যকর হবে।’

সংখ্যাগরিষ্ঠরা ক্রমে সংখ্যালঘু হয়ে যাবে! ধর্মান্তর নিয়ে কড়া মন্তব্য আদালতের

রাজ্য ভাগের পর এক দশক কেটে গেলেও অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলঙ্গানা হায়দ্রাবাদকেই যুগ্ম রাজধানী হিসাবে ব্যবহার করত। চলতি বছর চুক্তির মাধ্যমে অন্ধ্রের রাজধানী হিসাবে অমরাবতীর নাম প্রস্তাবিত হয়েছে। তবে, এখনও অমরাবতী সরকারিভাবে রাজধানীর তকমা পায়নি। অমরাবতী প্রজেক্টও বিগত ৫ বছর ধরে আটকে রয়েছে। এক্ষেত্রে অন্ধ্র প্রদেশে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর চন্দ্রবাবু পড়শি রাজ্য তেলঙ্গানার সঙ্গে নতুন কোনও চুক্তি করতে পারেন কি না, তাই-ই দেখার।

Advertisements

এদিকে চলতি সপ্তাহেই চন্দ্রবাবু নাইডুর দিল্লি যাওয়ার কথা রয়েছে। রাজধানীর খবর যে, তিনি প্রধীনমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। সেখানেই অমরাবতীর উন্নয়নে ১৫ হাজার কোটি টাকা কেন্দ্রের থেকে চাইতে পারেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও, পোলাবারম মহাসেচ প্রকল্পেও অর্থ বরাদ্দের দাবি করতে পারেন তিনি।

এই প্রথম জোট শরিকদের দাবি-দাওয়ার কথা মাথায় রেখে বাজেট পেশ করতে হবে মোদী সরকারকে। সেই প্রেক্ষাপটেই চন্দ্রবাবুর কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টার বিষয়টি বেশ তাৎপর্যবাহী।