পবন খেরার স্ত্রী কোট নীলিমার নামে দুটি ভোটার কার্ড, অভিযোগ বিজেপির

নয়াদিল্লি: কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য পবন খেরার স্ত্রী কোট নীলিমার (Kota Neelima) বিরুদ্ধে দ্বৈত ভোটার কার্ড রাখার অভিযোগ তুলল বিজেপি। বুধবার বিজেপির…

পবন খেরার স্ত্রী কোট নীলিমার নামে দুটি ভোটার কার্ড, অভিযোগ বিজেপির

নয়াদিল্লি: কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য পবন খেরার স্ত্রী কোট নীলিমার (Kota Neelima) বিরুদ্ধে দ্বৈত ভোটার কার্ড রাখার অভিযোগ তুলল বিজেপি। বুধবার বিজেপির মুখপাত্র শাজিয়া ইলমি এক সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, “কংগ্রেস নিজেদের ‘মোহাব্বত কি দোকান’ বলে প্রচার করলেও, তারা আসলে প্রতারণা ও ভণ্ডামির বাজার চালাচ্ছে।”

বিজেপির অভিযোগ, ২০২৩ সালের তেলঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে খৈরাতাবাদ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হওয়া কোট নীলিমার নামে দুটি ভোটার আইডি পাওয়া গেছে। একইসঙ্গে শাজিয়া অভিযোগ করেন, পবন খেরার নামও দুটি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় রয়েছে।

   

শাজিয়া ইলমি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকেও তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, রাহুলের ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ প্রকৃত অর্থে ভোটারের অধিকার রক্ষার আন্দোলন নয়, বরং ক্ষমতা দখলের চেষ্টা। তাঁর অভিযোগ, রাহুল এক সাংবাদিক বৈঠকে ভোটারদের পরিচয় প্রকাশ করে সাধারণ নাগরিকদের হয়রানির মুখে ফেলেছেন। এর ফলে গণতান্ত্রিক নীতির প্রতি কংগ্রেসের উদাসীনতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

বিজেপির দাবি, কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে দ্বৈত ভোটার কার্ডের অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর এবং নির্বাচন কমিশনের উচিত অবিলম্বে এর তদন্ত করা। শাজিয়া ইলমি বলেন, “কংগ্রেসের এই প্রতারণার রাজনীতি দেশের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করছি, পবন খেরা এবং কোট নীলিমার বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”

Advertisements

ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন পবন খেরাকে নোটিশ পাঠিয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, দিল্লির জঙ্গপুরা এবং নিউ দিল্লি বিধানসভা কেন্দ্র—দুটিতেই তাঁর নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে। ভারতের গণপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫০-এর ১৭ ও ১৮ ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, কোনো ব্যক্তি একাধিক কেন্দ্রে বা একই কেন্দ্রে একাধিকবার ভোটার হিসেবে নথিভুক্ত হতে পারবেন না।

নয়াদিল্লি জেলার নির্বাচন দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অভিযোগ সত্যি হলে তা আইনের লঙ্ঘন। খেরা অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি ২০১৬ সালে নিউ দিল্লি বিধানসভা এলাকা থেকে সরে এসেছিলেন এবং নিজের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছিলেন। তাঁর মতে, কমিশনের গাফিলতিতেই এই ভুল হয়েছে।

বিজেপি-কংগ্রেসের এই অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও তীব্র হচ্ছে। দেশের ভোটার তালিকার স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনাকে সামনে রেখে কংগ্রেস-বিজেপির রাজনৈতিক লড়াই আরও তীব্র হবে এবং ভোটারদের আস্থার প্রশ্নে বড়সড় বিতর্ক তৈরি হবে।