বিজেপি নেতা এবং ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (Biplab) এবার মুখ খুললেন রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে। তিনি রাহুলকে কটাক্ষ করে বলেন “গতকাল নির্বাচন কমিশনের সাংবাদিক সম্মেলন গোটা দেশ দেখেছে। এটা দেশের দুর্ভাগ্য যে আমাদের একজন এমন বিরোধী দলের নেতা রয়েছেন, যিনি জনগণ বা তাদের অনুভূতির কোনো পরোয়া করেন না।
তিনি শুধু সস্তা রাজনীতিতে মত্ত থাকেন।” তিনি আরও বলেন রাহুল গান্ধী দেশের দুর্ভাগ্য যিনি এমন মিথ্যাচার করেন। রাহুলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে বিপ্লব দেব বলেন কংগ্রেসের সময়ে কত অবসরপ্রাপ্ত নির্বাচনী আধিকারিক কে বড় বড় পদ দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। রাহুলগান্ধীকে লজ্জাহীন বলে উল্লেখ করে বিপ্লব বলেন শুধু আমরা না দেশের দুর্ভাগ্য রাহুল গান্ধী।
বিপ্লব আরও বলেন রাহুল গান্ধী দেশ এবং মানুষের সেন্টিমেন্ট বোঝেন না। বিপ্লব দেব, যিনি ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ এবং বিজেপির একজন প্রভাবশালী নেতা। তাঁর এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। রাজনৈতিক মহলে তাঁর বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
বিজেপি সমর্থকরা তাঁর এই কটাক্ষকে সমর্থন করছেন, এবং বিরোধী সমর্থকরা এটিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবে সমালোচনা করছেন। একটি পোস্টে বলা হয়েছে, “বিপ্লব দেব সঠিক বলেছেন, রাহুল গান্ধী জনগণের সমস্যার পরিবর্তে রাজনৈতিক সুবিধা নিয়ে ব্যস্ত।” রাহুল গান্ধী, যিনি ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি বিরোধী জোটের পক্ষে সরব হয়েছেন।
তিনি নির্বাচন কমিশনের কার্যকারিতা, ভোটার তালিকার স্বচ্ছতা এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন। তবে, বিজেপি নেতারা, বিশেষ করে বিপ্লব দেব, তাঁর এই অবস্থানকে ‘বার বার সমালোচনা করেছেন। দেবের মতে, রাহুল গান্ধীর এই ধরনের মন্তব্য জনগণের স্বার্থের পরিবর্তে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিপ্লব দেবের এই বক্তব্য রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডি জোটের বিরুদ্ধে বিজেপির ক্রমবর্ধমান সমালোচনার অংশ। নির্বাচন কমিশন গতকাল একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বিরোধী দলগুলোর অভিযোগের জবাবে বলেছিল যে, তাদের অভিযোগ তথ্য বা হলফনামার ভিত্তিতে নয়। এই বিষয়ে সমাজবাদী পার্টির নেতা রামগোপাল যাদব এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
হ্যাটট্রিকের স্বপ্নভঙ্গ, উয়াড়ির কাছে আটকে অবনমন আতঙ্কে ব্ল্যাক প্যান্থার্সরা
মৈত্র উল্লেখ করেছেন যে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডুপ্লিকেট ইপিক কার্ডের সমস্যা উত্থাপন করেছিলেন, কিন্তু তা এখনও সমাধান হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে বিপ্লব দেবের মন্তব্য রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বের উপর সরাসরি আক্রমণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।