Bilkis Bano Rape Case: বিলকিস বানো ধর্ষণ মামলায় সুপ্রিম নির্দেশে বিজেপির অস্বস্তি

বিলকিস বানো (Bilkis Bano) মামলায় অভিযুক্তরা আবার যাবে জেলে। আসলে সোমবার বড় সিদ্ধান্ত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গুজরাট সরকারের দোষীদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।…

Bilkis Bano Rape Case: বিলকিস বানো ধর্ষণ মামলায় সুপ্রিম নির্দেশে বিজেপির অস্বস্তি

বিলকিস বানো (Bilkis Bano) মামলায় অভিযুক্তরা আবার যাবে জেলে। আসলে সোমবার বড় সিদ্ধান্ত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। গুজরাট সরকারের দোষীদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। এই মামলায় অভিযোগকারিণীর আবেদন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। জনস্বার্থ মামলাও মঞ্জুর করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, একজন নারী সম্মান পাওয়ার যোগ্য। সে সমাজে যতনিম্নই হোক না কেন বা সে যে কোনো ধর্মে বিশ্বাস করুক না কেন।

সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে রাজ্য সরকার সাজা মকুবের বিষয়টি বিবেচনা করতে সক্ষম। সংসদ রাজ্য সরকারকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে। তবে ছাড়ের আদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে গুজরাট সরকারের দক্ষতা সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে এটি স্পষ্ট যে ছাড়ের আদেশ দেওয়ার আগে উপযুক্ত সরকারকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। এর অর্থ হ’ল দোষীদের সংঘটিত স্থান বা কারাবাসের স্থান ক্ষমার জন্য প্রাসঙ্গিক নয়। গুজরাট সরকারের সংজ্ঞা অন্যরকম। সরকারের উদ্দেশ্য হলো, যে রাষ্ট্রের অধীনে দোষীদের বিচার করা হয়েছে এবং সাজা দেওয়া হয়েছে, সেই রাষ্ট্রই উপযুক্ত সরকার। অর্থাৎ শীর্ষ আদালত বিচারের স্থানের উপর জোর দিয়েছে, যেখানে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তা নয়।

গুজরাটে ধর্মী়য় গোষ্ঠী সংঘর্ষের সময় যা কুখ্যাত ‘গুজরাট দাঙ্গা’ নামে, সেই ঘটনায় ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বিলকিস বানো। ধৃতরা জামিন পেতেই উল্লসিত হয়েছিলেন গুজরাটের একাধিক বিজেপি ও হিন্দুত্ববাদী নেতা। তবে সুপ্রিম আদেশ সেই উল্লাস থামল।

বিলকিস বানোকে গুজরাটের রনধিকপুর গ্রামে গণধর্ষণ করা হয়েছিল এবং তার পরিবারের সাত জন সদস্য, যার মধ্যে তার তিন বছরের মেয়েও ছিল, ২০০২ সালের ৩ মার্চ গোধরা ট্রেন পোড়ানোর পরে শুরু হওয়া গুজরাট দাঙ্গায় নিহত হয়েছিল। সে সময় তার বয়স ছিল ২১ বছর এবং পাঁচ মাসের গর্ভবতী ছিলেন।

Advertisements

২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। পরে বম্বে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট তাদের সাজা বহাল রাখে।

পরে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত ১১ জন দোষীকে গোধরা সাব-জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। গুজরাটের বিজেপি সরকার তাদের ক্ষমা নীতির অধীনে এদের মুক্তির অনুমতি দেয়। সাজাপ্রাপ্তরা ১৫ বছরেরও বেশি সময় জেল খেটেছে বলা হয়।