নির্বাচনের আগেই ঘুরল খেলা, সকাল সকাল BJP-তে যোগ দিলেন ৪ বারের বিধায়ক

একাধিক রাজ্যে বিধানসভা ভোটের মুখে ফের শক্তি বাড়ল বিজেপি (BJP)-র। এবার দলে যোগ দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন হেভিওয়েট বিধায়ক। আসলে আগামী কিছু সময়ের মধ্যেই বিহারের চারটি…

bjp

একাধিক রাজ্যে বিধানসভা ভোটের মুখে ফের শক্তি বাড়ল বিজেপি (BJP)-র। এবার দলে যোগ দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন হেভিওয়েট বিধায়ক।

আসলে আগামী কিছু সময়ের মধ্যেই বিহারের চারটি আসনের বিধানসভা উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু তার আগেই রাষ্ট্রীয় লোক জনশক্তি পার্টির (আরএলজেপি) প্রার্থী পশুপতি পারস ধাক্কা খেয়েছেন। বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন বিধায়ক সুনীল পাণ্ডে রবিবার ছেলে সন্দীপ পাণ্ডেকে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন।

   
बीजेपी की सदस्यता लेते हुए संदीप पांडे
বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন বিধায়ক সুনীল পাণ্ডে

সুনীল পাণ্ডে জেডিইউ-এর প্রাক্তন বিধায়ক। শোনা যাচ্ছে, তারারি বিধানসভা উপনির্বাচনে সুনীল পাণ্ডের ছেলে সন্দীপ পাণ্ডেকে প্রার্থী করতে পারে বিজেপি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ জয়সওয়াল সুনীল পাণ্ডেকে দলে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। দিলীপ জয়সওয়াল তারারি বিধানসভা উপনির্বাচনে সুনীল পাণ্ডেতে দলে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সুনীল পাণ্ডে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তুলে বলেন, তিনি এনডিএ-র নিয়মিত কর্মী ছিলেন, কিন্তু আজ তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেন। তিনি জানিয়েছেন যে আগামী নির্বাচনে তাঁর লক্ষ্য হবে বিজেপিকে জয়ী করা এবং সরকার গঠন করা। আসলে আরএলজেপিতে সুনীল পাণ্ডের দাপট ছিল অনেক। তার জোরেই পশুপতি পারস উপনির্বাচনে এনডিএর কাছ থেকে তারারি আসনটি দাবি করেছিলেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে সুনীল পান্ডে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছিলেন, অন্যদিকে বিজেপির কৌশল বিদ্যার্থীকে শোচনীয় পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।

বিহারের রাজনীতিতে সুনীল পাণ্ডের আলাদা মর্যাদা রয়েছে। বিহারের বাহুবলী নেতাদের মধ্যে তাঁর নাম রয়েছে। আদতে রোহতাস জেলার বাসিন্দা হলেও ভোজপুরের পিরো বিধানসভা কেন্দ্র থেকে শুরু করেছিলেন তিনি। ২০০০ সালে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে পিরো আসন থেকে প্রথম নির্বাচনে জয়ী হন তিনি। এখনও পর্যন্ত চারবার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সুনীল পাণ্ডে। ২০০০ সালে সমতা পার্টির টিকিটে পিরো থেকে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে জয়ী হন তিনি। ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি এবং ২০০৫ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত পরবর্তী উপনির্বাচনে তিনি একই আসনে জয়ী হন। ২০১০ সালে তিনি জেডিইউয়ের টিকিটে তারারি থেকে নির্বাচনে জয়ী হন। ২০১৫ সালে, পাণ্ডের স্ত্রী গীতা পান্ডে এলজেপির টিকিটে তারারি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, কিন্তু তাকে পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।