৫১ লাখ ভোটারের নাম বাদ! নির্বাচন কমিশনের হিসেবে সরকারের শিরে সংক্রান্তি

শ্রাবণ মাসে সরকারের শিরে সংক্রান্তি! নির্বাচন কমিশনের (ECI) হিসেবে ৫১ লাখ ভোটারের (Bihar voter list)নাম বাদ পড়ে গেল। রাজনৈতিক বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে এর ফল পড়তে…

Bihar voter list 51 lakh names dropped under SIR ahead of polls

শ্রাবণ মাসে সরকারের শিরে সংক্রান্তি! নির্বাচন কমিশনের (ECI) হিসেবে ৫১ লাখ ভোটারের (Bihar voter list)নাম বাদ পড়ে গেল। রাজনৈতিক বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে এর ফল পড়তে চলেছে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে৷ বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে SIR-এর আওতায় বাদ পড়েছে ৫১ লাখ নাম। জানালো নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের মতে, বিহারে Special Intensive Revision (SIR) প্রক্রিয়ার আওতায় এখন পর্যন্ত দেখা গেছে, ১৮ লাখ ভোটার মারা গেছেন, ২৬ লাখ অন্য আসনে স্থানান্তরিত হয়েছেন, এবং ৭ লাখ ভোটার দু’টি স্থানে নাম নথিভুক্ত করেছেন। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে, যে সমস্ত ভোটার যোগ্য, তাদের নাম খসড়া ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যা ১ আগস্ট প্রকাশিত হওয়ার কথা।

বিরোধী দলের অভিযোগ ও কমিশনের প্রতিক্রিয়া:
বিহারে ভোটার বাদ পড়ার অভিযোগ তুলে বিরোধী দলগুলো কমিশনের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছে এবং বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন। কমিশন তার অবস্থান ব্যাখ্যা করে বলেছে, এটি সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে কমিশনের দায়িত্ব এবং প্রক্রিয়াটি আইনসম্মত ও স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

   

আপত্তি ও সংশোধনের জন্য এক মাসের সময়সীমা:
কমিশনের ২৪ জুন ২০২৫ সালের নির্দেশ অনুসারে, ১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খসড়া ভোটার তালিকা নিয়ে আপত্তি তোলা বা সংশোধনের আবেদন করার সুযোগ থাকবে। যাঁরা এনুমারেশন ফর্ম জমা দিয়েছেন, দলিলসহ বা দলিল ছাড়াই, তাঁদের নাম খসড়া তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। যাঁরা ফর্ম জমা দেননি, তাঁরাও নির্ধারিত ফর্মে দাবি জানিয়ে চূড়ান্ত তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হবে, এবং নতুন ভোটাররা মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন।

Advertisements

SIR পরিচালনায় কমিশনের প্রচেষ্টা:
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই বিশাল প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন পক্ষের সাথে সমন্বয় করা হয়েছে। ১ লাখ বুথ লেভেল অফিসার (BLO), ৪ লাখ স্বেচ্ছাসেবক এবং ১.৫ লাখ বুথ লেভেল এজেন্ট (BLA) এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত আছেন। তাঁরা এখনো পর্যন্ত যাঁদের ফর্ম জমা পড়েনি বা যাঁরা নির্ধারিত ঠিকানায় পাওয়া যাচ্ছেন না, তাদের খুঁজে বের করার কাজ চালাচ্ছেন। কমিশন আদালতে বলেছে, এই প্রক্রিয়া সংবিধান অনুযায়ী তাদের দায়িত্ব এবং তা একটি ধারাবাহিক, আইনসঙ্গত এবং বিচারিকভাবে বৈধ প্রক্রিয়া।

বিহারে এনডিএ জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। আর লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডি নেতৃত্বাধীন মহাজোট বিরোধী আসনে আছে। মনে করা হচ্ছে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশ কুমারকে আর মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করবে না বিজেপি। সেক্ষেত্রে জোটবদলু নীতীশ ফের জোট ভাঙতে পারেন এখনও ধারণা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য বারবার এনডিএ ছেড়ে ফের সেই জোটে ফিরে গেছেন নীতীশ কুমার। তিনি ছিলেন এনডিএ বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম নেতা।