পাটনা: নির্বাচনপ্রস্তুত বিহারে সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিহার পুলিশ হেডকোয়ার্টার। গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদ-এর তিনজন সন্দেহভাজন সদস্য নেপাল সীমান্ত দিয়ে বিহারে প্রবেশ করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই তিনজন হলেন, হাসনাইন আলি (রাওয়ালপিন্ডি), আদিল হুসেন (উমেরকোট), মোহাম্মদ উসমান (বাহাওয়ালপুর)।
সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ বিভাগের কাছে তাদের নাম, ছবি এবং পাসপোর্টের বিস্তারিত তথ্য পাঠানো হয়েছে। সীমান্ত জুড়ে নজরদারি ও তল্লাশি অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, তারা আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে কाঠমাণ্ডু পৌঁছেছে এবং তৃতীয় সপ্তাহে বিহারে প্রবেশ করেছে।
নির্বাচন ঘিরে রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তা সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে। সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিং সম্পন্ন হয়েছে। সব জেলা গোয়েন্দা ইউনিটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড দ্রুত শনাক্ত করতে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে।
পুলিশের আশঙ্কা, এই তিনজন দেশের কোনো অঞ্চলে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা চালাতে পারে। এটি একাকী ঘটনা নয়; চলতি বছরের মে মাসে মাত্র ২০ দিনের মধ্যে বিহারে ঢুকেছিল ১৮ জন সন্দেহভাজন। তাদের মধ্যে একজনকে, যিনি খালিস্তানি সংগঠনের সদস্য, গ্রেফতার করা হয়।
বিহারের নেপাল সীমান্ত ৭২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং বেশিরভাগ অংশ খোলা, যা এটিকে অনুপ্রবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। সীমান্তবর্তী সাতটি জেলা সরাসরি এই সীমান্তের সঙ্গে যুক্ত, যা ২৪ ঘণ্টা নজরদারি রাখার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ। কিশনগঞ্জ জেলার কাছাকাছি বাংলাদেশের সীমান্তও মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে।
ভারত মোট সাতটি দেশের সঙ্গে স্থলসীমা ভাগ করে-চিন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার ও আফগানিস্তান। এছাড়াও, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ভারতের সামুদ্রিক সীমাও রয়েছে। বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী এই সীমান্তগুলো রক্ষা করার দায়িত্বে নিয়োজিত।
নির্বাচনের আগে সীমান্তে নজরদারি জোরদার এবং সম্ভাব্য সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশ প্রতিরোধের জন্য বিহার প্রশাসন সম্পূর্ণ প্রস্তুত।