ভোটের আগে NDA-র জয়োৎসবের প্রস্তুতি, ৫০০ কেজি লাড্ডু-৫ লক্ষ রসগোল্লা

Ashok Dinda self declared BJP candidate from Moyna for Assembly Election 2026

পাটনা: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা এখনও বাকি, কিন্তু পাটনার রাজপথে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে বিজয় উদ্‌যাপনের প্রাক্‌-পর্ব। একাধিক এক্সিট পোল বিজেপি-জেডিইউ নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (NDA)-কে এগিয়ে রাখতেই গেরুয়া শিবিরে লেগেছে উৎসবের হাওয়া। কর্মীরা বিশ্বাস করছেন, বিহারে ফের সরকার গঠন করতে চলেছে এনডিএ। সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই শুরু হয়েছে রেকর্ড গড়া মিষ্টি-বিতরণ এবং ভোজসভার প্রস্তুতি।

Advertisements

পাটনার বিজেপি রাজ্য কার্যকরী কমিটির সদস্য কৃষ্ণ সিং কল্লুর তত্ত্বাবধানে তৈরি হচ্ছে ৫০০ কেজি বিশেষ লাড্ডু। এই লাড্ডু কোনও সাধারণ মিষ্টি নয় এর প্রস্তুতিতে রাখা হয়েছে বিশেষ বার্তা ও আবেগ। যার জন্য রান্নার বিশাল কড়াইয়ের সামনে স্থাপন করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার-এর ছবি। কর্মীরা জানিয়েছেন, জয়যাত্রা সফল হোক, সেই উদ্দেশ্যে কড়াইয়ের পাশে ঝোলানো হয়েছে লেবু-লঙ্কা, যাতে “কুনজর” বা অশুভ শক্তি দূরে থাকে।

   

আরও একটি নজরকাড়া উদ্যোগ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত সমর্থকদের কথা ভেবে লাড্ডুতে চিনির পরিমাণ কম রাখা হয়েছে। বিজেপি নেতা কৃষ্ণ সিং কল্লু বলেন, “এক্সিট পোল আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। বিহারের মানুষ উন্নয়নের পক্ষে রায় দিয়েছেন, আর এবারের জয় সেই পরিশ্রমের পুরস্কার।”

অন্যদিকে, উৎসবকে জনসমুদ্রের চেহারা দিতে প্রস্তুতি নিয়েছে মোকামা বিধানসভা কেন্দ্র। শক্তিশালী নেতা অনন্ত সিং-এর পরিবার ঘোষণা করেছে বিশাল ভোজসভার। অনন্ত সিং বর্তমানে দুলারচাঁদ হত্যা মামলায় বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকলেও এলাকায় তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব এখনও অটুট। তাঁর স্ত্রী নীলম দেবী-র বাসভবনে ৫০ হাজার মানুষের খাওয়াদাওয়ার আয়োজন চলছে জোরকদমে।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সেই অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি করা হচ্ছে ৫ লক্ষ রসগোল্লা, হাজার হাজার গোলাপ জামুন, ভিড় সামলাতে আলাদা আলাদা সার্ভিং কাউন্টার, প্যান্ডেল, সাউন্ড সিস্টেম, অতিথি আপ্যায়নের বিশেষ ব্যবস্থা। 

Advertisements

১৪ নভেম্বর, ভোট গণনার দিনটিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে মহা-উৎসবের জন্য। ইতিমধ্যেই এনডিএ-র কর্মী, সমর্থক এবং শুভানুধ্যায়ীদের কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে গেছে। সেই আমন্ত্রণপত্রে লেখা আছে, “আপনার উপস্থিতি আমাদের সম্মান। আপনাকে স্বাগত জানাতে আমরা অধীর।”

এই বার্তা ছড়িয়ে পড়তেই দলীয় কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে উন্মাদনা। পাটনার বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে ব্যানার, পতাকা ও আলোকসজ্জার প্রস্তুতি। বহু জায়গায় তাল কেটে রেখেছেন ডিজে পার্টি, ঢাক এবং মিষ্টি বিতরণের অস্থায়ী স্টল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজয় উৎসবের এই প্রস্ততি শুধু আনন্দ প্রকাশ নয়, বরং জনমনোভাবে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি এবং কর্মী-সমর্থকদের মনোবল বৃদ্ধির কৌশলও বটে। যদিও কিছু আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত মিলেছে, এনডিএ শিবিরে আত্মবিশ্বাস এতটাই প্রবল যে, ফল ঘোষণার আগেই “জয়ের উৎসব” কার্যত শুরু হয়ে গিয়েছে।