বিহার আবারও শিরোনামে উঠে এল, তবে এবার রাজনৈতিক নয়, (Bihar) বরং ভয়ানক অপরাধের কারণে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের তিন জেলায় তিনজন নিরীহ নাগরিক খুন হয়েছেন। নিহতরা হলেন একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক এবং একজন মুদি দোকানের মালিক। এ ঘটনাগুলি রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক কার্যকারিতা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।(Bihar)
প্রথম ঘটনা: ব্যবসায়ী পুটু খানের খুন
শনিবার সকালেই সীতামারি জেলার অন্যতম ব্যস্ত বাজার(Bihar) এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে খুন করা হয় ব্যবসায়ী পুটু খানকে। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে, কিভাবে আততায়ীরা (Bihar) একেবারে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পুটুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তখনও বাজারে অনেক মানুষ উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু আততায়ীরা একটুও ভয় না পেয়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পুটুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডে এলাকাবাসী আতঙ্কিত এবং ক্ষুব্ধ।(Bihar)
দ্বিতীয় ঘটনা: চিকিৎসক সুরেন্দ্র কুমারকে হত্যা
এই ঘটনার কিছু ঘণ্টার মধ্যেই শেখপুরা গ্রামে ফের ঘটে এক ভয়াবহ হামলা। (Bihar) বাইকে করে আসা দুষ্কৃতীরা বর্ষীয়ান চিকিৎসক সুরেন্দ্র কুমারকে কাছ থেকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি চালায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। পেশাগতভাবে একজন নির্ভরযোগ্য ও পরিচিত (Bihar) হওয়ায় তাঁর মৃত্যুতে গোটা অঞ্চলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রশ্ন উঠেছে, কেন একজন চিকিৎসক এইভাবে নিশানা হলেন?
তৃতীয় ঘটনা: মুদি দোকানের মালিক বিক্রম ঝার হত্যা
এর আগে, শুক্রবার রাতেই আরেকটি ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটে।(Bihar) আততায়ীরা গুলি করে হত্যা করে বিক্রম ঝা নামক এক মুদি দোকানের মালিককে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও বড় অপরাধমূলক অভিযোগ ছিল না, তাই হত্যার উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিক্রম ছিলেন শান্ত স্বভাবের এবং এলাকায় খুব জনপ্রিয়।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ
এই তিনটি ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। যদিও তদন্ত শুরু হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, কিন্তু দ্রুত কোনও অগ্রগতি না হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। প্রশ্ন উঠছে, এমন জনবহুল এলাকায় দিনের আলোয় একের পর এক হত্যাকাণ্ড কিভাবে ঘটে যাচ্ছে প্রশাসনের চোখের সামনে?(Bihar)
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে প্রভাব
বছরের শেষদিকে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগেই এমন রক্তাক্ত ঘটনার পর রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। বিরোধীরা বলছে, বিজেপি শাসিত রাজ্যে আইনের শাসন নেই, অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। শাসকপক্ষ এই ঘটনাগুলিকে বিচ্ছিন্ন বললেও, নাগরিক সমাজের একাংশ মনে করছে যে প্রশাসনের গাফিলতিই অপরাধের সংখ্যা বাড়িয়ে তুলছে।