নয়াদিল্লি: ১৬ দিনের ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’, তারপর বেপাত্তা। ২ মাস পর ফিরে এসে পুকুরে নেমে মাছ ধরা। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ‘ধরি মাছ, না ছুঁই পানি’ ভোটপ্রচারের ফলাফল শুক্রবার স্পষ্ট। এনডিএ জোটের বিপরীতে মুখ থুবড়ে পড়ল কংগ্রেস। এই হারের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিতে ছাড়ছে না বিজেপি (BJP)।
ফলাফল স্পষ্ট হতেই বিজেপি মুখপাত্র সম্বিত পাত্র (Sambit Patra) বললেন, প্রধানমন্ত্রীর মা-কে অপমানের জবাব দিয়েছে বিহার। শুধু তাই নয়, তিনি দাবী করেন, সমাজমাধ্যমে রাহুল গান্ধীকে নাকি তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা এই নিয়ে উপদেশ দিচ্ছেন। সম্বিত পাত্র (Sambit Patra) বলেন, “আমি সমাজমাধ্যমে দেখছি, কংগ্রেস নেতা কর্মীরা রাহুল গান্ধীকে বলছেন, যখনই উনি কু-মন্তব্য করেন, তার মাশুল দলকে দিতে হয়।”
এরপর ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে বিজেপি মুখপাত্র বলেন, “২০১৯ সালে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বলেছিলেন চৌকিদার চোর হে (চৌকিদারই চোর), তার ফল কি হয়েছিল? বিজেপি ৩০০-র বেশি আসন লাভ করে আর কংগ্রেস জঘন্যভাবে হেরে যায়”।
কটাক্ষের সুর আরও চড়িয়ে সম্বিত পাত্র বলেন, “আপনি (রাহুল গান্ধী) যদি প্রধানমন্ত্রী, তাঁর মা-এর বিরুদ্ধে অপশব্দ ব্যবহার করেন, অসম্মান করেন তাহলে কোনও ক্ষমা নেই। বিহারের মানুষ কংগ্রেসের থেকে প্রতিশোধ নিয়েছে”।
প্রধানমন্ত্রীর মা-কে অপমান বিতর্ক
প্রসঙ্গত, আগস্ট মাসে বিহারের দ্বারভাঙ্গা জেলায় ভোটার অধিকার যাত্রার মঞ্চ থেকে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘প্রধানমন্ত্রীর মা’-কে নিয়ে কুমন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে। ঘটনাকে অস্ত্র করে ময়দানে নেমে পড়ে বিজেপি। পাটনা, দিল্লি সহ কলকাতাতেও ভাঙচুর, বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির নেতা কর্মীরা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন। সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভার্চুয়াল বৈঠকে চোখে জল নিয়ে অপমানের জবাব দেন।


