৫২ লক্ষ ভোটার বাদ, ১ আগস্ট আসছে খসড়া তালিকা

বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) তরফে চলছে বিশেষ নিবিড় সংশোধনী অভিযান (Special Intensive Revision – SIR)। এই প্রক্রিয়ায় এখনও…

Voter List

বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) তরফে চলছে বিশেষ নিবিড় সংশোধনী অভিযান (Special Intensive Revision – SIR)। এই প্রক্রিয়ায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫২ লক্ষ ভোটারকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দাবি, এই সকল ভোটার হয় মৃত অথবা অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়েছেন।

কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ১ আগস্ট খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। ওই তালিকায় সমস্ত যোগ্য ভোটারদের নাম যুক্ত থাকবে বলে কমিশনের আশ্বাস।

   

একটি আদালতে মামলার শুনানির প্রেক্ষিতে কমিশন আদালতে জানিয়েছে, এই সংশোধন প্রক্রিয়া সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সম্পূর্ণ সাংবিধানিক ক্ষমতার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। কমিশনের বক্তব্য, তারা একেবারে আইনসম্মত ও বিচারব্যবস্থার অধীনে থেকে কাজ করছে। এই সংশোধনী প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য হল আগামী বিধানসভা ভোটের আগে একটি সঠিক ও নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রস্তুত করা।

কমিশনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, রাজ্যের প্রতিটি জেলার নির্বাচন আধিকারিকদের নেতৃত্বে বাড়ি-বাড়ি সমীক্ষা, আধার নম্বর যাচাই, ও বিভিন্ন সরকারি তথ্য ভান্ডার ব্যবহার করে তালিকা পর্যালোচনা করা হয়েছে।

এই ৫২ লক্ষ বাদ পড়া নামের মধ্যে বহু মানুষ ইতিমধ্যেই প্রয়াত হয়েছেন, আবার অনেকে অন্য রাজ্যে কিংবা বিদেশে স্থানান্তরিত হয়েছেন, ফলে তাঁরা বর্তমান ঠিকানায় আর ভোট দিতে পারবেন না। এছাড়া একাধিক এলাকায় ডুপ্লিকেট ভোটার নাম পাওয়া গিয়েছিল, সেগুলিও ছেঁটে ফেলা হয়েছে।

Advertisements

এই পদক্ষেপকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কিছু বিরোধী দল বলছে, এর ফলে প্রকৃত ভোটাররাও তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন। তবে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, যাঁরা ভুল করে বাদ পড়েছেন, তাঁদের জন্যও আপত্তি জানানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং সংশোধনের সুযোগ থাকবে।

১ আগস্ট খসড়া তালিকা প্রকাশের পর শুরু হবে আপত্তি ও পরামর্শ জমা দেওয়ার পর্যায়। এরপর ২০২৫ সালের শুরুর দিকে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় কমিশন চাইছে সময়মতো চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করতে।

কমিশনের এই পদক্ষেপ ভোটার তালিকাকে আরও স্বচ্ছ ও নির্ভুল করার উদ্দেশ্যে হলেও, এই বিশাল পরিমাণ বাদ পড়া নাম নিয়ে জনমানসে নানা প্রশ্নও উঠছে। তবে কমিশনের বক্তব্য স্পষ্ট— “একজন যোগ্য ভোটারও যেন বাদ না পড়েন, আর একজন অযোগ্য ব্যক্তিও যেন তালিকায় না থাকেন।”