কংগ্রেসের দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ, পাঁচ প্রার্থীর নাম ঘোষণা

Congress MP Sudha Ramakrishnan’s Chain Snatched During Morning Walk in Delhi

বিহার: বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Election 2025) আগে কংগ্রেস শনিবার তাদের দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় আরও পাঁচটি নতুন নাম যুক্ত হয়েছে, যা প্রথম তালিকার ৪৮ প্রার্থীর সঙ্গে মিলিয়ে মোট ৫৩ জন প্রার্থীকে চূড়ান্ত করেছে দল।

Advertisements

দ্বিতীয় তালিকায় নরকাটিয়াগঞ্জ থেকে শশ্বত কেদার পাণ্ডে, কিশনগঞ্জ থেকে কামরুল হোদা, কসবা থেকে ইরফান আলম, পূর্ণিয়া থেকে জিতেন্দ্র যাদব এবং গয়া টাউন থেকে মোহন শ্রীবাস্তার নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে দুই দফায়—প্রথম দফা ৬ নভেম্বর এবং দ্বিতীয় দফা ১১ নভেম্বর। ভোটগণনা হবে ১৪ নভেম্বর। এবারের ভোটে মোট ২৪৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

মহাগঠবন্ধনের মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে জটিলতা ক্রমশ বাড়ছে। আরজেডি ও কংগ্রেসের মধ্যে আলোচনায় এখনও পর্যন্ত পূর্ণ সমঝোতা হয়নি। এর ফলে কিছু আসনে উভয় দলই প্রার্থী দিচ্ছে, যা রাজনৈতিক মহলে “বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই” হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

জোটের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য দলগুলির অবস্থানও এক নয়। বিশেষ করে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) শনিবার ঘোষণা করেছে যে তারা এবারের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে মহাগঠবন্ধনের অংশ হয়ে নয়, বরং এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। দলের সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র সুপ্রিয় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “আমরা ছয়টি আসনে নিজস্ব প্রার্থী দেব এবং স্বতন্ত্রভাবে ভোটে লড়ব।”

Advertisements

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, জেএমএম-এর এই সিদ্ধান্ত মহাগঠবন্ধনের ঐক্যে ফাটল ধরাতে পারে। ঝাড়খণ্ডে জেএমএম বর্তমানে ক্ষমতাসীন জোটের নেতৃত্বে থাকলেও, বিহারে স্বাধীন লড়াই করার সিদ্ধান্তে ইন্ডিয়া ব্লকের একতার ওপর প্রভাব পড়বে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

অন্যদিকে, বিহার কংগ্রেস নেতৃত্ব বলছে, আসন সমঝোতা নিয়ে মতভেদ থাকলেও শেষ পর্যন্ত ঐক্য ফিরবে। কংগ্রেস মুখপাত্রের বক্তব্য, “আমাদের লক্ষ্য বিজেপি-বিরোধী ভোট একত্রিত রাখা এবং বিহারে বিকল্প শাসনব্যবস্থা গঠন করা।”

প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের এই দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশের মধ্য দিয়ে দলটির প্রার্থী ঘোষণা প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। দলীয় সূত্রে খবর, বাকি আসনগুলির প্রার্থীর নামও খুব শিগগির ঘোষণা করা হবে।

রাজনৈতিক মহলে জল্পনা—মহাগঠবন্ধনের অভ্যন্তরীণ জটিলতা কি বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র জন্য সুবিধা তৈরি করবে? কারণ বর্তমানে এনডিএ শিবির নির্বাচনী প্রচারে এগিয়ে রয়েছে এবং তারা জোটে ঐক্যবদ্ধভাবেই লড়ছে।