কী হল নীতীশের? মোদীর বৈঠকে অনুপস্থিত থেকে তুলে দিলেন বড় প্রশ্ন

টার্গেট ছিল ৪০০। কিন্তু লোকসভা ভোটে ২৪০-এই থমকে গিয়েছে বিজেপির দৌড়। সরকার গড়তে তাই শরিকদের উপরই ভরসা করতে হয়েছিল বিজেপিকে। নীতিশ কুমার (Nitish Kumar) এবং…

টার্গেট ছিল ৪০০। কিন্তু লোকসভা ভোটে ২৪০-এই থমকে গিয়েছে বিজেপির দৌড়। সরকার গড়তে তাই শরিকদের উপরই ভরসা করতে হয়েছিল বিজেপিকে। নীতিশ কুমার (Nitish Kumar) এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর দৌলতে কোনওক্রমে দিল্লি দখল করতে সক্ষম হন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তারপরেও নীতিশ-চন্দ্রবাবুর দলকে পছন্দসই মন্ত্রিত্ব দেননি মোদী। এ নিয়ে যথেষ্ঠ ক্ষুব্ধ দুই নেতা।

এই পরিস্থিতিতে মোদীর ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার। আর তা নিয়েই ছড়িয়েছে জল্পনা। কী কারণে নীতীশ বৈঠকে গরহাজির থাকলেন, তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। অবশ্য নিজে না গেলেও বিহারের দুই উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধরি এবং বিজয়কুমার সিংহকে দিল্লির বৈঠকে পাঠিয়েছেন নীতীশ।

   

শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে নীতি আয়োগের বৈঠক বসে। ‘ইন্ডিয়া’র ৭ জন মুখ্যমন্ত্রী সেই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। কেবলমাত্র বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে যোগ দেন। অবশ্য মাঝপথেই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মমতা। যা নিয়ে গোটা দেশে শোরগোল পড়ে যায়। অবশ্য শুধু মমতাই নয়, বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার কারণে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন নীতীশও।

‘মিসলিড’ করছেন মমতা? মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রকেরই অভিযোগে তোলপাড় দিল্লি!

অবশ্য এটাই প্রথম নয়, এর আগেও নীতি আয়োগের বৈঠক এড়ান নীতীশ। জেডিইউ মুখপাত্র নীরজ কুমার বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যে নীতি আয়োগের বৈঠকে গেলেন না, তা কিন্তু প্রথম বার হল না। এর আগেও নীতি আয়োগের বৈঠকে গরহাজির ছিলেন তিনি। বিহারের তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রীরা সেই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেন। এ বার রাজ্যের দুই উপমুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।

এদিকে বৈঠক থেকে বেরিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন মমতা। তিনি বলেন, তেলুগু দেশম পার্টির প্রধান তথা অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুকে ২০ মিনিট বলতে দেওয়া হয়েছে। অসম, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীদেরও যথেষ্ঠ সময় দেওয়া হয়েছে। অথচ আমি বলা শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিরাট অভিযোগ মমতার, নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে ওয়াক আউট