আগামী বিহার বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ণ শক্তিতে লড়বেন আম আদমি পার্টি (আপ) (AAP’s Bihar debut) । সোমবার দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিহারে ২৪৩টি আসনে তারা প্রার্থী দেবে। এর পাশাপাশি প্রথম দফায় ১১ জন প্রার্থীর নামের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। বিহার বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নভেম্বর ৬ ও ১১ তারিখে, এবং ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে ১৪ নভেম্বর।
এই ঘোষণাটি আসে তখনই, যখন বিহার নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। একই দিনে একটি সংবাদ সম্মেলনে, বিহার নিয়ে আপের ইঞ্চার্জ অজেশ যাদব বলেন, “আমরা বিহারে আমাদের দিল্লি ও পাঞ্জাবের মতো শাসনব্যবস্থার মডেল প্রতিষ্ঠা করতে আত্মবিশ্বাসী।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের কাছে উন্নয়ন ও শাসনের একটি প্রমাণিত মডেল রয়েছে। আম আদমি পার্টির কাজ সারা দেশে আলোচনা হচ্ছে। পূর্বাঞ্চলের মানুষদের বিশাল অবদান রয়েছে আমাদের দিল্লি জয়ে। আমাদের জাতীয় সম্মেলন কর্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কথায়—যদি তারা দিল্লিতে সরকার গঠন করতে সাহায্য করতে পারে, তাহলে বিহারেও কেন না?”
আপের এই ঘোষণা বিহারের রাজনৈতিক মহলে একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। বিহারে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির মঞ্চে ত্রিশুল ও কংগ্রেস, বিজেপি, জেডিইউ, আরজেডি প্রভৃতি প্রধান দলগুলোর মধ্যে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলে আসছে। এই মঞ্চে নতুন কণ্ঠস্বর হিসেবে আপের আগমন ভবিষ্যতের নির্বাচনী চিত্র বদলে দিতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
দিল্লি ও পাঞ্জাবে সফল শাসন মডেল নিয়ে বিহারে তাদের সরকার গঠনের লক্ষ্যে আপ নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এটি একটি সাশ্রয়ী, স্বচ্ছ ও সাধারণ মানুষের কল্যাণমুখী শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
সোমবার প্রকাশিত প্রথম প্রার্থীর তালিকায় ১১ জনের নাম রয়েছে। যদিও আপ এ মুহূর্তে তালিকাটি ব্যাপকভাবে প্রচার করছে না, তবুও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই তালিকা হল বিহারে আপের মূল ভূখণ্ডে তার সেভাবে পদার্পণের প্রথম ইঙ্গিত।
এই নির্বাচনে আপের সম্পূর্ণ ২৪৩ আসনে লড়াইয়ের পরিকল্পনা রাজ্যের রাজনৈতিক মানচিত্রে নতুন গতিপ্রদানের প্রত্যাশা জাগিয়েছে। কারণ বিহারের ভোটাররা উন্নয়ন, দারিদ্র্য নিরসন ও সুশাসনের দাবিতে সদা সচেতন।