চেন পরিয়ে কুকুরের মতো ডাকতে জবরদস্তি, অসহায় যুবকের চিৎকার ভাইরাল

মানবতা বোধ খুইয়ে এবার সিনেমার মস্তানদের মতো মানুষের গলায় কুকুরের বেল্ট পড়িয়ে তাদেরই মতো আচরণের করতে জোর করা হয়েছে এক যুবককে। সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল…

চেন পরিয়ে কুকুরের মতো ডাকতে জবরদস্তি, অসহায় যুবকের চিৎকার ভাইরাল

মানবতা বোধ খুইয়ে এবার সিনেমার মস্তানদের মতো মানুষের গলায় কুকুরের বেল্ট পড়িয়ে তাদেরই মতো আচরণের করতে জোর করা হয়েছে এক যুবককে। সম্প্রতি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে গোটা নেট দুনিয়ায়। যেখানে বেশ কিছু লোক এক যুবকের গলায় বেল্ট বেঁধে তাকে কুকুরের মত আচরণ করতে বলে। এবং তাদের কাছে ক্ষমা চাইতে বলে। সেই সঙ্গে ওই যুবককে দিয়ে জোর করে কুকুরের মতো ঘেউ ঘেউ করায়।

Advertisements

মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালের একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ভাইরাল হচ্ছে। এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবকের গলায় ফাঁস লাগিয়ে কুকুরের মতো আচরণ করতে বাধ্য করছে বেশ কয়েক জন ব্যক্তি। এর পাশাপাশি তারা কোনো কিছুর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করাচ্ছে। এবং তাদের খপ্পরে আটকে পড়া যুবককে অভিযুক্তদের কাছে অনুনয় বিনয় করতে দেখা যায়। গোটা বিষয়টি পুলিশের নজরে আসতেই তারা এই বিষয়ে মামলা রুজু করে তিন আসামিকে গ্রেফতার করে।

   

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন ব্যক্তি এক যুবককে বেল্ট দিয়ে বেঁধে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। গুন্ডাদের খপ্পরে আটকে পড়া যুবককে ভিডিওতে দুষ্কৃতীদের কাছে মিনতি করতে দেখা যায়। ভিডিওটি গোটা সমাজ মাধ্যমে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পরে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেছেন, “আমি ভিডিওটি দেখেছি এবং এটি খুবই গুরুতর অপরাধ বলে মনে হয়েছে। মানুষের সঙ্গে এই ধরনের আচরণ নিন্দনীয়। ভোপালের পুলিশ কমিশনারকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ মামলা দায়ের করে তিন আসামি সমীর, সাজিদ ও ফাইজানকে গ্রেফতার করে।

ভোপালের টিলা জামালপুরা পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, নির্যাতিতার নাম বিজয় রামচন্দানি। এই নিয়ে থানায় অভিযোগও করেছেন নির্যাতিতার স্বজনরা। সেই সূত্রে এই ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে ৯ মে। পরিবারের অভিযোগ, ভিডিও নির্মাতারা প্রথমে বিজয়কে মাদকাসক্ত করে।

Advertisements

অভিযুক্ত যুবক ভিকটিমকে জোরপূর্বক গাঁজা ও চরসে নেশা করিয়ে দেয়। এর পর তারা ভিকটিমকে জোর করে নিজের বাড়িতে চুরি করতে বাধ্য করেছিল। এ ছাড়া ভিকটিমকে মাংস খেতে বাধ্য করা হয় এবং ধর্মান্তরিত করতে বাধ্য করা হয়।

নির্যাতিতার ভাইয়ের অভিযোগ, এর আগেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ এফআইআর নথিভুক্ত করতে অস্বীকার করে অন্য পথে পালিয়ে যায়। এরপর পরিবারের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ভিকটিমের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে।

অন্যদিকে অভিযুক্ত সাহিলের মা স্পষ্ট করে বলেন, আমাদের সন্তান বিজয় রামচন্দানিকে ধর্মান্তরিত করার জন্য কোনো চাপ দেয়নি। ছেলেকে জোর করে ফাঁসানো হচ্ছে।