ভাগবতের মন্তব্যে অস্বস্তি বিজেপি শিবিরে

বিজেপির নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া বেশ কিছুদিন ধরেই লম্বা হচ্ছে। দলীয় মহলে যেমন নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, তেমনই রাজনৈতিক মহলও এ নিয়ে কৌতূহলী। বিজেপির…

Bhagwat speech

বিজেপির নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া বেশ কিছুদিন ধরেই লম্বা হচ্ছে। দলীয় মহলে যেমন নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, তেমনই রাজনৈতিক মহলও এ নিয়ে কৌতূহলী। বিজেপির মূল আদর্শিক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) নাকি এই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে, এমন অভিযোগও উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে। এই প্রেক্ষাপটেই সংঘপ্রধান মোহন ভাগবতের মন্তব্যে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।

সম্প্রতি এক বক্তব্যে মোহন ভাগবত ইঙ্গিতপূর্ণ সুরে বলেন, “যদি আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত, তবে এতটা সময় লাগত না।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্য আসলে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে কটাক্ষ করেই করা হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, বিজেপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও উত্তরসূরি বাছাইয়ের টানাপড়েন এখন আর লুকোনো যাচ্ছে না।

   

বিগত কয়েক মাসে একাধিক রাজ্যে বিজেপির সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে লোকসভা নির্বাচনে প্রত্যাশিত ফল না আসার পরে দলের ভেতরেই নেতৃত্বের ঘাটতি নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে। নতুন সভাপতি নির্বাচনের দেরি এই অসন্তোষকে আরও প্রকট করেছে। আর ঠিক তখনই সংঘপ্রধানের এই মন্তব্যকে অনেকেই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন।

Advertisements

রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চায় এমন একজন সভাপতি, যিনি শুধু সংগঠনে গ্রহণযোগ্য হবেন তাই নয়, আগামী নির্বাচনে কৌশলী ভূমিকা পালন করতে পারবেন। অন্যদিকে, সংঘেরও নিজস্ব পছন্দ রয়েছে। এই দুই পক্ষের মধ্যে মতৈক্য তৈরি করতেই এত দেরি হচ্ছে বলে অনুমান।

মোহন ভাগবতের ‘স্লাই জ্যাব’ নিঃসন্দেহে বিজেপির ভেতরের টানাপড়েন প্রকাশ্যে এনে দিল। আগামী দিনে দল কোন কৌশলে নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।