Defence: ভারত এবং জাপান এখন যৌথভাবে নতুন প্রজন্মের আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কথা বিবেচনা করছে। সূত্রের খবর, উভয় দেশই একটি যৌথ প্রকল্পে কাজ শুরু করতে পারে, যার ফলে ৩০০ কিলোমিটারেরও বেশি পাল্লার আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা সম্ভব হবে।
সূত্রমতে, নতুন প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের জন্য বিয়ন্ড-ভিজ্যুয়াল-রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল (BVRAAM) তৈরির এই যৌথ প্রকল্পে কাজ করতে উভয় দেশই খুবই আগ্রহী। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতের অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফট (AMCA) এবং জাপানের গ্লোবাল কমব্যাট এয়ার প্রোগ্রাম (GCAP) যুদ্ধবিমানের জন্য তৈরি করা হবে।
Defence: কেন এই ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রয়োজনীয়?
চিন ইতিমধ্যেই PL-16 (200-250 কিমি) এবং PL-17 (400+ কিমি) এর মতো ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে। এগুলি ব্যবহার করে তারা দূর থেকে শত্রুপক্ষের AWACS এবং ট্যাঙ্কার বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করতে পারে। এই কারণেই ভারত এবং জাপান উভয়ই এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র চায় যা দীর্ঘ দূরত্বেও নির্ভুলভাবে আঘাত করতে পারে।
Defence: ভারত ও জাপানের বর্তমান শক্তি
- ভারত DRDO-এর মাধ্যমে Astra সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে।
- Astra Mk-I: ১১০ কিমি পাল্লা, ইতিমধ্যেই বিমান বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত।
- Astra Mk-II: ১৬০ কিমি পাল্লা, ২০২৫ সালে পরীক্ষামূলক।
- Astra Mk-III (গান্দিব): ৩৪০+ কিমি পাল্লা, ২০৩০ সালের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে জাপানের কাছে AAM-4TDR ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যার পাল্লা ১৬০-১৭০ কিলোমিটার। তবে, এটি চিনের নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় দুর্বল বলে মনে করা হচ্ছে।
Defence: ২০৩০ সালের মধ্যে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র
ভারত সম্প্রতি জাপানকে অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তান কর্তৃক গুলি করে ভূপাতিত করা চিনা PL-15E ক্ষেপণাস্ত্র থেকে প্রাপ্ত ইলেকট্রনিক কাউন্টার-কাউন্টারমেজারস (ECCM) তথ্য সরবরাহ করেছে, যা দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদার করেছে।
ভারত-জাপানের যৌথ প্রকল্প সফল হলে, ২০৩০ সালের মধ্যে উভয় দেশের বিমান বাহিনী একটি নতুন প্রজন্মের সুপার মিসাইল পাবে। এই মিসাইল ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আধিপত্য এবং ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে। এই অংশীদারিত্বকে দুই দেশের মধ্যে বাড়তে থাকা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।