শুক্রবার বেঙ্গালুরুর বিশেষ দায়রা আদালত (Bengaluru court) ধর্ষণ মামলায় হাসানের প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্বল রেভান্নাকে (Prajwal Revanna) দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(২) ধারার অধীনে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে আদালত এই রায় ঘোষণা করে।
৩৪ বছর বয়সী প্রজ্বলকে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা চারটি যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলার মধ্যে একটিতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সাজা ঘোষণার আগে তিনি আদালতের কাছে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কম সাজা প্রার্থনা করেন। তিনি দাবি করেন যে, তিনি কোনও ভুল করেননি এবং রাজনীতিতে তার ‘দ্রুত’ বৃদ্ধিই তার একমাত্র ভুল।
প্রজ্বল বলেন, “তারা বলে যে আমি একাধিক মহিলাকে ধর্ষণ করেছি, কিন্তু কোনও মহিলাই স্বেচ্ছায় অভিযোগ জানাতে আসেননি। তারা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ছয় দিন আগে এসেছিলেন। প্রসিকিউশন পক্ষ তাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিয়ে এসে অভিযোগ জানাতে বাধ্য করেছিল।”
তিনি আরও দাবি করেন, ভুক্তভোগী মহিলা ঘটনার পর স্বামী বা পরিবারের কাছে কিছু জানাননি। তিনি বলেন, ‘কিছু ভিডিও প্রচারিত হলে তিনি এসে অভিযোগ করেন’।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আদালতের কাছে প্রজ্বল রেভান্নার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দাবি জানান। সাংসদ ও বিধায়কদের জন্য বিশেষ আদালতের বিচারক সন্তোষ গজানন ভাট ৩৪ বছর বয়সী প্রজ্বলকে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা চারটি যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলার একটিতে দোষী সাব্যস্ত করেন।
মামলাটি হাসান জেলার হোলেনারসিপুরে অবস্থিত পরিবারের গনিকাদা ফার্মহাউসে কর্মরত ৪৮ বছর বয়সী এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, ২০২১ সালে ফার্মহাউস ও বেঙ্গালুরুতে প্রাক্তন সাংসদের পরিবারের বাসভবনে তাকে দু’বার ধর্ষণ করা হয় এবং অভিযুক্ত ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ড করে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের মে মাসে জার্মানি থেকে ফেরার পর প্রজ্বলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।