চপার থেকে নামছে সেনা,রণক্ষেত্র জিরিবামের বাঙালিরা তীব্র আতঙ্কিত

Manipur Violence: মণিপুরের (Manipur Violence) জিরিবাম (Jiribam) জেলায় আপাতত থাকা নিরাপদ নয় বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাংলাভাষীরা। এই জেলায় বাঙালিদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। তবে লাগাতার জাতি সংঘর্ষ…

Manipur

Manipur Violence: মণিপুরের (Manipur Violence) জিরিবাম (Jiribam) জেলায় আপাতত থাকা নিরাপদ নয় বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাংলাভাষীরা। এই জেলায় বাঙালিদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। তবে লাগাতার জাতি সংঘর্ষ ও নাশকতার মাঝে পড়ে শয়ে শয়ে বাঙালি পড়শি রাজ্য অসমের দিকে চলে যাচ্ছেন।

জিরিবাম থেকে অসমের দিকে যেতে জিরি নদীর জিরিঘাট সেতু পার করতে হয়। মণিপুর-অসম আম্ত:রাজ্য সীমানায় চলছে কড়া নজরদারি। সেমবারের পর চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) চলছে সর্বত্র তল্লাশি। সোমবার নিহতদের কাছ থেকে মিলেছে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র। নিহতরা কুকি জঙ্গি বলে সরকারের দাবি।

   

জিরিবামের পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ। নিষেধাজ্ঞাসহ ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। মণিপুরের জিরিবাম জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এগারোজন সন্দেহভাজন জঙ্গি নিহত হওয়ার একদিন পর, মঙ্গলবার সকালে পরিস্থিতি থমথমে।

মণিপুরে গত দেড় বছর ধরে জাতি সংঘর্ষে শত শত নিহত। কুকি ও মেইতেই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে রক্তাক্ত রাজ্যটি। বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারের দাবি ১১ জন কুকি জঙ্গি নিহত হয়েছে। দাবি উড়িয়ে ‘কুকি জো’ সংগঠনের দাবি নিহতরা গ্রামরক্ষী। তাদের ভুয়ো সংঘর্ষে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে। যাবতীয় অভিযোগের কেন্দ্রে মণিপুরের জিরিবাম জেলার পুলিশ কর্তা। অভিযোগ, মেইতেই গোষ্ঠীভুক্ত পুলিশ কর্তার পরিকল্পনায় নিহতদের জঙ্গি বলে চিহ্নিত করা হয়।

Manipur

জেলা প্রশাসন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কুকি-জো সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় মঙ্গলবার ভোর ৫টা থেকে বনধ চলে। সোমবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ভয়ানক বন্দুকযুদ্ধে ১১ জন সন্দেহভাজন জঙ্গি নিহত হয়েছে।বোরোবেকরাতে ব্যাপক গুলি বিনিময়ের সময় দুই CRPF কর্মীও আহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানানো হয়েছে। নিহতদের দেহে সামরিক বাহিনীর পোশাক ছিল।