মঙ্গলবার ভোরে বঙ্গোপসাগরে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হল। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (NCS) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৪.২। ভারতীয় সময় সকাল ৭টা ২৬ মিনিট ৩৫ সেকন্ডে কম্পন ধরা পড়ে। ভূমিকেন্দ্র ছিল অক্ষাংশ ২০.৫৬ ডিগ্রি উত্তর ও দ্রাঘিমাংশ ৯২.৩১ ডিগ্রি পূর্বে, সমুদ্রের প্রায় ৩৫ কিলোমিটার গভীরে। প্রাথমিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
NCS তাদের এক্স পোস্টে জানিয়েছে, “রিখটার স্কেলে ৪.২ মাত্রার ভূমিকম্প। সময়: ০২.১২.২০২৫, সকাল ৭:২৬:৩৫ IST। কেন্দ্র: বঙ্গোপসাগর। গভীরতা: ৩৫ কিমি।”
এর মাত্র ১১ দিন আগে, ২১ নভেম্বর, ভারত মহাসাগর অঞ্চলেও রিখটার স্কেলে ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্প নথিবদ্ধ হয়েছিল। সেই ভূমিকেন্দ্র ছিল ৩ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ৯৫.৫৮ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে, সমুদ্রের ১০ কিমি গভীরে।
হরিয়ানায়ও কম্পন, নড়ল সোনিপত
সোমবার রাতেই ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে হরিয়ানার সোনিপত। রাত ৯টা ২২ মিনিট নাগাদ অনুভূত হয় কম্পন। তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৩.২। ভূমিকেন্দ্র ছিল জমির মাত্র ৫ কিলোমিটার গভীরে। কোনও বড় ক্ষতি হয়নি বলেই জানানো হয়েছে।
নেপালে আবারও ভূমিকম্প Bay of Bengal Earthquake
রবিবার কম্পনে কেঁপে ওঠে নেপালের বাজহাং জেলা। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ৪.৪। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ০৯ মিনিটে বাজহাংয়ের সাইপাল পর্বত এলাকায় ভূমিকেন্দ্র চিহ্নিত হয়। পার্শ্ববর্তী বাজুরা সহ বেশ কয়েকটি জেলায় কম্পন টের পান স্থানীয় বাসিন্দারা। ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই।
নেপাল ভূমিকম্পের দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম সবচেয়ে সক্রিয় অঞ্চল—সিসমিক জোন IV ও V–এ অবস্থিত দেশটি প্রায় সারা বছরই নানা মাত্রার ভূমিকম্পের মুখোমুখি হয়।
ধারাবাহিক কম্পন নিয়ে সতর্ক বিশেষজ্ঞরা
বঙ্গোপসাগর, ভারত মহাসাগর, নেপাল ও ভারতের উত্তর–পশ্চিম অংশ—চার জায়গায় ধারাবাহিক কম্পন ভূতাত্ত্বিকদের চিন্তিত করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতীয় টেকটনিক প্লেটের ধাক্কাধাক্কি ও ক্রমাগত সিসমিক চাপ বাড়ায় ভবিষ্যতে আরও কম্পন দেখা যেতে পারে।
