‘I Love Mohammad’-বিতর্কে অগ্নিগর্ভ বারেলি, বন্ধ ইন্টারনেট!

লখনউ: ‘আই লাভ মহম্মদ’ বিতর্কে বিগত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত যোগীরাজ্যের বারেলি (Bareilly)। শুক্রবার সন্ধ্যার নামাজের আগে বিশৃঙ্খলা-সংঘর্ষ এড়াতে মোতায়েন করা হল অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। বন্ধ…

লখনউ: ‘আই লাভ মহম্মদ’ বিতর্কে বিগত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত যোগীরাজ্যের বারেলি (Bareilly)। শুক্রবার সন্ধ্যার নামাজের আগে বিশৃঙ্খলা-সংঘর্ষ এড়াতে মোতায়েন করা হল অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট (Internet) পরিষেবা। এদিন সকাল থেকেই থমথমে বারেলির রাস্তা।

Advertisements

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টে থেকে শনিবার বিকেল ৩ টে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট। মূলত দশেরা উদযাপনকে মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ নেয় বারেলি সহ উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউবের মত সমাজমাধ্যমে গুছব ছড়ানো এবং ধর্মীয় উত্তেজনা বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হোম সেক্রেটারি গৌরব দয়াল একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, এসএমএস পরিষেবা, মোবাইল ইন্টারনেট এবং ডেটা, সেইসঙ্গে ব্রডব্যান্ড এবং ওয়্যারলেস সংযোগগুলি স্থগিত থাকবে।

   

আঁটসাঁটো নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে বারেলিকে

শুধুমাত্র ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করাই নয়, সেইসঙ্গে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, প্রাদেশিক সশস্ত্র কনস্টেবল (PAC) এবং র‍্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (RAF)। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং নজরদারি চালাতে ওড়ানো হয়েছে ড্রোন। বরেলিকে চারটি সুপার জোন এবং চারটি বিশেষ জোনে ভাগ করা হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, জানান বারেলির এসএসপি (SSP) অনুরাগ আর্য। তিনি আরও বলেন যে এলাকার ধর্মীয় নেতাদের নামাজের পর বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়েছে। বরেলি ছাড়াও উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুর, পিলিভিট এবং বুদাউন জেলায়ও উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

‘I Love Mohammad’-বিতর্ক

শুক্রবারের জুমার নামাজের পর সাম্প্রদায়িক হিংসায় উত্তাল হয়ে ওঠে উত্তরপ্রদেশের বারেলি। আলা হজরত দরগাহ এবং ইত্তেহাদ-ই-মিল্লাত কাউন্সিল (IMC) প্রধান মৌলানা তৌকির রজা খানের বাসভবনের সামনে বিপুল পরিমাণে মানুষ জড়ো হয়ে ‘আই লাভ মোহাম্মদ’ প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দিয়েছিলেন।

জুমার নামাজের পর হাজারো মানুষ দরগাহ এবং মৌলানা খানের ফয়েজ এনক্লেভের সামনে জড়ো হন। পুলিশের অনুমতি ছাড়া মিছিল শুরু করার চেষ্টায় সংঘর্ষ শুরু হয়, এবং কিছু গোষ্ঠী পাথর ছুড়ে পুলিশ এবং দোকান-গাড়ির উপর হামলা চালায়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ভাঙা কাচ, ছড়ানো জুতো এবং পাথরের স্তূপ রাস্তায় পড়ে আছে।

আলমগিরিগঞ্জ, সিভিল লাইনস, বড়া বাজার এবং বাঁসমণ্ডিতে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়, এবং ভয়ে স্থানীয়রা বাড়িতে আশ্রয় নেন। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনাকে ‘গভীর ষড়যন্ত্র’ বলে উল্লেখ করেছেন।