বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘুদের (Minority atrocities in Bangladesh) পরিস্থিতি ভারতের জন্য একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয়, এবং ভারত আশা করে যে ঢাকা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেবে, শুক্রবার লোকসভার অধিবেশনে একথা জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
তিনি বলেন, ভারত আশা করে যে বাংলাদেশে নতুন সরকার একটি সুস্থ এবং পারস্পরিক উপকারী সম্পর্ক স্থাপন করবে, যা দুই দেশের মধ্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে। জয়শঙ্কর আরও বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণ দীর্ঘদিন ধরে ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ সেখানে বহুবার সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।
এ সময়, জয়শঙ্কর আরও বলেন, “আমরা আশা করি যে বাংলাদেশের নতুন শাসনব্যবস্থা নিজেদের ভিতরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করবে এবং ভারতের সঙ্গে একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন করবে, যা উভয় দেশকে উপকারে আসবে।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ এবং তাদের অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা কখনোই উপেক্ষা করা উচিত নয়, এবং ভারত আশা করে যে বাংলাদেশ সরকার তাদের নাগরিকদের, বিশেষত সংখ্যালঘুদের, নিরাপত্তা এবং মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত রাখবে। জয়শঙ্কর আরও বলেন, “এটা ভারতীয় জনগণের পক্ষ থেকেও একটি উদ্বেগজনক বিষয়।”
এছাড়া, জয়শঙ্কর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা যেমন বাণিজ্য, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ইত্যাদির ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী হতে হবে। তিনি বলেন, ভারত আশা করে যে বাংলাদেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন এবং সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ঢাকা পদক্ষেপ নেবে।
এদিকে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের ঘটনা এবং তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্য বৃদ্ধির কারণে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশকে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। বিশেষত, সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ, এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক আক্রমণ, তাদের সম্পত্তি ভাঙচুর, এবং ধর্মীয় স্থানগুলিতে হামলা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় বাংলাদেশের সরকারের কাছে আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে, যাতে তারা সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এরই মধ্যে জানিয়েছিলেন যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে এসব আক্রমণের ঘটনায় ভারত উদ্বিগ্ন। তিনি উল্লেখ করেন, যে কোনো দেশের সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের সমস্ত নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, এবং বাংলাদেশেও এটি জরুরি।
ভারত- বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, এবং দুই দেশের সরকারের মধ্যে এ ধরনের আলোচনা ভবিষ্যতে আরও গভীর হতে পারে।