পাকিস্তানের ‘কোলে’ বসেছে ইউনূস! ভারতীয়দের জন্য ভিসা সীমিতকরণ করল বাংলাদেশ

পাকিস্তানের কোলে বসছে ইউনূস! সেই প্রেক্ষিতেই এবার ভারতীয়দের জন্য ভিসা সীমিতকরণ করল বাংলাদেশ (Bangladesh)। শুক্রবার দু-দেশের মধ্যে চলমান বিবাদের মধ্যেই কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনকে…

Bangladesh calcelles all transit route for India which was signed during Hasina tenure.

পাকিস্তানের কোলে বসছে ইউনূস! সেই প্রেক্ষিতেই এবার ভারতীয়দের জন্য ভিসা সীমিতকরণ করল বাংলাদেশ (Bangladesh)। শুক্রবার দু-দেশের মধ্যে চলমান বিবাদের মধ্যেই কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনকে এই বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা। মুহাম্মদ ইউনিসের সরকার এই নয়া ভিসা নীতি আগামীতে দু-দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও ক্ষতিগ্রস্থ করবে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। 

‘হিন্দু-নিধনকারী’ ইউনূসের নোবেল ফিরিয়ে নিতে হবে, নোবেল কমিটিতে চিঠি বিজেপি’ সাংসদের    

   

সাম্প্রতিক সময়ে মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার এবং ভারত সরকারের মধ্যে মতবিরোধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। মূলত বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ এবং মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ভারতীয় নেতৃত্বের কড়া সমালোচনা এই উত্তেজনার মূলে রয়েছে।

ভারতের বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন যে, মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার চালাতে ব্যর্থ হয়নি। এমনকি তাঁর নোবেল সম্মান প্রত্যাহারের দাবি তুলে সরাসরি নোবেল কমিটিকে চিঠিও দিয়েছেন। কূটনৈতিক মহলে ধারণা, এই সমালোচনার জবাব দিতেই বাংলাদেশ সরকার এই ভিসা নীতি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাংলাদেশের ভিসা সীমিতকরণের ফলে ভারতীয় পর্যটক, ব্যবসায়ী এবং চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেতে পারে। প্রতিবছর অসংখ্য ভারতীয় নাগরিক চিকিৎসার জন্য ঢাকার বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে যান। এই নীতি কার্যকর হলে সেই সুযোগ বাধাগ্রস্ত হবে।

এছাড়া, দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি থেকে শুরু করে বিনিয়োগের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। ভিসা সীমাবদ্ধতার ফলে এই সম্পর্কেও টানাপোড়েন দেখা দিতে পারে। 

বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষায় আরো বেশি রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-রজনীকান্তর লেখা, বাতিল মুজিব

দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষায় কূটনৈতিক মহল সবসময়ই সচেষ্ট। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মুহাম্মদ ইউনূসকে কেন্দ্র করে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা নতুন সংকটের জন্ম দিয়েছে। ভারত ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, যা ঢাকার সরকার ভালোভাবে নেয়নি।

বাংলাদেশ সরকার দাবি করেছে যে, মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের মন্তব্য দেশের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ। কূটনৈতিক ভাষায় এটি ‘আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অযাচিত প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা’ হিসেবে দেখছে ঢাকা।

বাংলাদেশের এই ভিসা সীমিতকরণ ভারতের জন্য একটি বড় ধাক্কা। বিশেষত এমন এক সময়ে যখন দক্ষিণ এশিয়ায় চীন তার প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক দুর্বল হলে তৃতীয় শক্তির সুযোগ বাড়বে।

চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতারে আপনি নীরব কেন? ইউনূসকে প্রশ্ন সাহিত্যিক ফারহাদ মাজহারের

কূটনীতিবিদদের মতে, দুই দেশের উচিত দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা। ভারত এবং বাংলাদেশ উভয় দেশের জন্যই সম্পর্কের স্থায়িত্ব গুরুত্বপূর্ণ।