বাংলাদেশে (Bangladesh) মৌলবাদীদের নির্যাতনের শিকার হিন্দুদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার দাবি জানাতে দিল্লি যাচ্ছেন পদ্মশ্রী স্বামী প্রদীপ্তানন্দ। তিনি ভারত সরকারের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে নির্যাতিত হিন্দুদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার দাবি তুলতে পারেন। ভারত সেবাশ্রম সংঘের বেলডাঙা আশ্রমের প্রধান কার্তিক মহারাজ জানিয়েছেন, তিনি এই দাবি নিয়ে দিল্লি গিয়ে সরকারিভাবে আবেদন করবেন। একই সঙ্গে, তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।
কার্তিক মহারাজ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের অবস্থা দেখলে হতাশা হয়। তাই রবীন্দ্রনাথের উক্তি ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ…’ পাথেয় করে দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাংলাদেশের হিন্দুদের সীমান্ত পার করে এদেশে আনা ও তাঁদের বসবাসে ব্যবস্থার দাবি জানাব। তারা তো অনুপ্রবেশকারী নয়। তারা হচ্ছে শরণার্থী। তারা ধর্ম পালন করার অধিকার রক্ষা করতে ওখান থেকে চলে আসতে বাধ্য হচ্ছেন। তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবস্থা করা।’
একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক দুর্নীতির তদন্তে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির গা ছাড়া মনোভাবেরও সমালোচনা করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক দুর্নীতি মামলার তদন্ত নিয়েও আমি হতাশ। তাই দিল্লি গেলে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হবে।’
বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দুদের আশ্রয়ের বিষয়টি নিয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ভারতীয় জনতা পার্টি সব সময় সনাতনী হিন্দুদের পাশে রয়েছে। ইতিমধ্যে ভারত সরকার বাংলাদেশি হিন্দুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে CAA তৈরি করেছে। এছাড়াও দীর্ঘমেয়াদী ভিসার মাধ্যমে বহু বাংলাদেশি হিন্দু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসীরা ভারতে রয়েছেন। কার্তিক মহারাজের দাবি ন্যায্য।’
রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে এই দাবিটি রাজনৈতিক মহলে একটি নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। তবে, বিজেপি এই দাবি সমর্থন করছে। কার্তিক মহারাজের এভাবে ভারত সরকারের কাছে দাবির পক্ষে অনেক হিন্দু সংগঠনও সুর মিলিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, কার্তিক মহারাজের দিল্লি সফরের পর সরকার কী পদক্ষেপ নেয় এবং এই দাবির বাস্তবায়ন সম্ভব হয় কিনা। রাজনৈতিক মহলে এই দাবির সমর্থক ও বিরোধী দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থান তুলে ধরছে। ভারতীয় রাজনীতিতে এই আবেদন নতুন দিকনির্দেশনা পেতে পারে।