ভারতকে (India) দেওয়া ব্যান্ডউইথ ট্রানসিট প্রত্যাহার করল বাংলাদেশ (Bangladesh)। মূলত, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির মধ্যে ইন্টারনেট সংযোগ বাড়ানোর জন্যই এই ব্যান্ডউইথ ট্রানসিট প্রসারিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নয়াদিল্লি। প্রাক্তণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) আমলেই এই চুক্তি সাক্ষর করেছিল দুই দেশ। এবার সেই চুক্তি বাতিল করল ইউনূস সরকারের টেলিকম মন্ত্রক।
ফের বিতর্কে হুমায়ুন, ফেরিঘাট দখলকে কেন্দ্র করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ বিধায়কের
এই চুক্তি বাংলাদেশের টেলিকম পরিষেবাকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যেই হয়েছিল বলে দাবি ঢাকার। তারই প্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। আগামী সোমবার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ঢাকায় যাচ্ছে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি। সেখানে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টি নিয়ে ভারতের আপত্তি ও উদ্বেগের কথা জানাবেন বিদেশ সচিব। কিন্তু তার আগে এই ট্রানসিট চুক্তি প্রত্যাহার নিঃসন্দেহে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আরও তলানিতে নিয়ে গেল বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
গত ১ ডিসেম্বর এ বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে বিটিআরসি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের জমানায় বাংলাদেশের ‘সামিট কমিউনিকেশনস’ এবং ‘ফাইবার অ্যাট হোম’, ভারতীয় কোম্পানি ‘ভারতী এয়ারটেল লিমিটেড’-এর সঙ্গে আখাউড়া থেকে সিঙ্গাপুর পর্যন্ত ট্রানজিট সংযোগ স্থাপনের অনুমতি চেয়ে বিটিআরসিতে আবেদন করেছিল। তাতে প্রাথমিক সম্মতিও মিলেছিল। কিন্তু সরকারের পটপরিবর্তনের পর পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। সম্পূর্ণ পাক- প্রভাবিত সন্ত্রাসী মানসিকতার কিছু মৌলবাদী গোষ্ঠীর অঙ্গুলীহেলনে চলছেন মুহাম্মদ ইউনূস। এই পদক্ষেপ তারই আরও এক প্রতিফলন বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
এমএলএস এমভিপি পুরস্কার জয়ে ইতিহাস গড়ল মেসি
বর্তমানে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করছে বিএনপি-জামাতের মতো দলগুলি। আর ইসলামাবাদের প্রত্যক্ষ্য বা পরোক্ষ মদতেই ঢাকার গদি সামলাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহম্মদ ইউনিস। ঢাকার সেনা দফতর গুলিতেও সম্প্রতি আনাগোনা বাড়িয়েছে পাক এজেন্টরা। যাদের মূল উদ্দেশ্য ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে লড়িয়ে দিয়ে দূর থেকে ‘মজা’ দেখা। তাই ভারতের সঙ্গে একাধিক যুদ্ধে পরাজিত হয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উসকে দিতে চাইছে ইসলামাবাদ। আর এমনটা হলে তাতে বাংলাদেশের ক্ষতি অধিক হবে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞমহল।
গরুর মাংস খাবই বলছেন বিজেপি নেতারা! হিমন্তর হুকুম না মেনে ক্ষোভ তুঙ্গে
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রশাসনিক ক্ষমতার অন্যতম মূলস্তম্ভ ছাত্র-যুবকেরা। যাদের অধিকাংশেরই রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক দক্ষতা কিংবা অভিজ্ঞতা নেই। তাদের চাপে পড়েই অনেকক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন ইউনূস সরকার। যা অজান্তেই বিপদ ও অস্থিরতা ডেকে আনছে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিসরে। সুতরাং এরকম চললে আগামীতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার পাশাপাশি দেশটি সম্পূর্ণ রূপে ভেঙে পড়বে বলেই মনে করে কূটনৈতিক মহল।
Bangladesh: Bangladesh has withdrawn the bandwidth transit it provided to India. The transit was initially aimed at enhancing internet connectivity in India’s northeastern states. The agreement was signed during the tenure of former Prime Minister Sheikh Hasina. However, the Yunus-led government’s telecom ministry has now annulled the agreement. https://ekolkata24.com/.