সীমা হায়দার (Seema Haider ) ভারতে আশ্রয় নেওয়ায় পাকিস্তানে তোলপাড় চলছে। ভারতে সীমা হায়দার যেভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, তার পর পাকিস্তানে হিন্দুদের হুমকি ও মন্দিরে হামলার ঘটনা বাড়ছে। সর্বশেষ হামলাটি ঘটেছে সিন্ধুর কান্ধকোটে। এখানে দস্যুরা রকেট লঞ্চার নিয়ে মন্দিরে হামলা করেছে। হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে অনেক আধুনিক অস্ত্র। সীমা হায়দার পাকিস্তানের বাসিন্দা। তিনি উত্তর প্রদেশের গ্রেটার নয়ডায় ভারতীয় পুরুষ শচীন মীনার সাথে বসবাস করছেন।
মোবাইলে অনলাইন গেম খেলতে গিয়ে প্রেমে পড়েন শচীন ও সীমা। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে সীমাকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও পরে তিনি জামিন পান। কিছুদিন আগে পাকিস্তানের এক ডাকাত হুমকি দিয়েছিল যে, সীমা ও তার সন্তান না ফিরলে আমরা দুই দিনের মধ্যে মন্দিরে হামলা চালাব। আমরা এখানকার হিন্দুদের রেহাই দেব না।
সীমা হায়দার তার গল্প প্রথম প্রকাশের পর থেকেই শিরোনামে রয়েছেন। এই দম্পতি যে বাড়িতে থাকেন সেটি সাংবাদিক ও লোকজনে ঘেরা। তারা সীমা ও শচীনকে এক ঝলক দেখার জন্য আগ্রহী। এই জনতা উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে সতর্ক করে দিয়েছে।
#BREAKING: Hindu Temple attacked by Bandits in Pakistan in revenge for Pakistani citizen Seema Haidar fleeing to India to marry a Hindu man. Bandits attacked Ghoshpur temple in Kandhkot, Sindh. No casualties reported. Ammunition recovered. Pakistan fails to protect minorities. pic.twitter.com/wOc9x0taku
— Aditya Raj Kaul (@AdityaRajKaul) July 16, 2023
উত্তরপ্রদেশের একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার শচীনের সাথে থাকার জন্য ইসলাম থেকে হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার কথা বলার পরে সীমান্তে সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। পুলিশ কর্মকর্তা সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে ভিড় থেকে কেউ বা মিডিয়া কর্মীদের ছদ্মবেশে কোনও দুর্বৃত্ত সীমান্তে মারাত্মক হামলা চালাতে পারে।
মুম্বাই পুলিশ হুমকি পেয়েছিল
মুম্বাই পুলিশও সীমান্ত নিয়ে হুমকি পেয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ কন্ট্রোল রুমকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল যে ভারত সরকার সীমা হায়দারকে ফিরিয়ে দিতে ব্যর্থ হলে ২৬/১১-এর মতো জঙ্গি হামলা চালানো হবে। মুম্বাই পুলিশ উর্দুতে এই হুমকি পেয়েছে, যাতে লেখা ছিল সীমা হায়দার পাকিস্তানে না ফিরলে ভারত ধ্বংস হয়ে যাবে। ২৬/১১ এর মতো হামলার জন্য প্রস্তুত থাকুন। এর জন্য দায়ী থাকবে উত্তরপ্রদেশ সরকার।