মধ্যপ্রদেশের উমারিয়া জেলার বান্ধবগড়ে (Bandhavgarh), ১৩ টি হাতির (elephants) স্বাস্থ্য একই সঙ্গে অবনতি হতে শুরু করে। তাদের মধ্যে ৪টি হাতির মৃত্যু (death) হয়েছে। ৯টি হাতির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। ধানের শীষ খাওয়ায় হাতির স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আপাতত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসেনি।
বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভ পার্কের (বিটিআর) পানপাথা বাফার জোনের অন্তর্গত বাকেলি-সালখানিয়া গ্রামের কাছে চারটি হাতির মৃত্যু হয়েছে। বিটিআরের সহকারী ডিরেক্টর প্রকাশ কুমার ভার্মা বলেন, অভয়ারণ্যের খিটোলি রেঞ্জের অধীনে বনরক্ষীদের নিয়মিত টহল দেওয়ার সময় বন্য হাতি ৪টিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
মনে করা হচ্ছে, মাহু রোগ থেকে রক্ষা পেতে কৃষকরা ধানের শীষে কীটনাশক স্প্রে করেছিলেন, একই ফসল বন্য হাতির পাল খেয়ে ফেলে, যার কারণে তাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। এর মধ্যে ৪টি হাতির মৃত্যু হয়েছে, আর ১৩টি হাতির অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও আসেনি
বান্ধবগড়ের ডেপুটি ডিরেক্টর পি কে ভার্মা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, কৃষকদের ধানের ফসলে ছিটানো কীটনাশক খেয়ে হাতিগুলো মারা গেছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই হাতি গুলির মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তদন্তে দল গঠন:
হাতির মৃত্যু ও গুরুতর অসুস্থ হাওয়ার ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে প্রশাসন। ডেপুটি ডিরেক্টর প্রকাশ ভার্মা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে ডগ স্কোয়াড ডাকা হয়েছে। তদন্তের জন্য পৃথক পাঁচটি টিম গঠন করা হয়েছে। সব দল সন্দেহজনক স্থান তদন্ত করবে। মাঠ, পুকুর এবং হাতির মল পরীক্ষা করা হবে। হাতিগুলোর পদ চিহ্নের ভিত্তিতে হাতিগুলো কোন দিকে গেছে তা খুঁজে বের করা হবে এবং দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।