মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড়ে (Bandhavgarh) গত তিন দিন ধরে হাতির (elephant) মৃত্যুর (Death) সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০। এমনকি দীপাবলির দিন দুটি হাতির মৃত্যু হয়। তিনটি হাতির অবস্থা এখনও আশঙ্কাজন। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার পুরো বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একটি দল গঠন করেছে।
হাতির মৃত্যুর পর, বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভ-এর ৭টি বাড়ি এবং ৭টি খামারে তদন্তের পাশাপাশি পাঁচ সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এখনও অবধি, এলাকা থেকে ধান, খড় এবং জলের নমুনা নেওয়া হয়েছে এবং পরীক্ষার জন্য স্কুল অফ ওয়াইল্ডলাইফ ফরেনসিক অ্যান্ড হেলথ, জবলপুরে পাঠানো হয়েছে।
২৯ অক্টোবর বিকেলে, বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভের খাতৌলি এবং পাটৌর রেঞ্জে ১৩টি হাতির পাল থেকে কিছু হাতি অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া যায়। কানহা এবং পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের বন্যপ্রাণী স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দ্বারা হাতি গুলির চিকিত্সা করা হচ্ছে। চিফ কনজারভেটর অব ফরেস্ট ওয়াইল্ডলাইফ কৃষ্ণমূর্তি জানিয়েছেন, এসটিএসএফ প্রধান এবং তাঁর দল ডগ স্কোয়াড সহ ঘটনাস্থল থেকে ৫ কিলোমিটার এলাকা তল্লাশি করে বিষয়টি তদন্ত করছে।
বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (WCCB) নয়াদিল্লি বিষয়টি তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করেছে। রাজ্য সরকার বিষয়টির সঠিক তদন্তের জন্য একটি রাজ্য স্তরের তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে। বলা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত ৬টি হাতির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে এবং একটি হাতির নমুনা পরীক্ষার জন্য SWFH-এ পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ও ময়নাতদন্তের ভিত্তিতে পশু চিকিৎসকের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, হাতিগুলোর মৃত্যুর কারণ খাদ্যে বিষক্রিয়া বলে মনে হচ্ছে। ফরেনসিক ল্যাব টেস্ট রিপোর্টের পরই এর সত্যতা নিশ্চিত করা যাবে।