লখনউ: যানবাহন হোক বা সাইনবোর্ড, কিমবা রাজনৈতিক মিছিল, গত প্রায় ২ বছর ধরে জাতি (Caste) বা ধর্মীয় স্টিকার লাগালে জরিমানা করছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে পুলিশ রেকর্ড এবং পাবলিক স্পেসেও জাতি, ধর্ম উল্লেখে নিষেধাজ্ঞা জারি করল যোগী রাজ্য। তার পরিবর্তে পরিচয়ের জন্য মা-বাবার নাম উল্লেখ করতে হবে বলে কড়া নির্দেশ দিল উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন।
পাশাপাশি, থানাগুলির নোটিশবোর্ড, যানবাহন এবং সাইনবোর্ড থেকেও জাতি বা ধর্মীয় চিহ্ন মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জাতি-ভিত্তিক কোনও মিছিল বা সমাবেশ করাও সম্পূর্ণ বন্ধ। এই মর্মে বিভিন্ন সমজামাধ্যমের উপর কড়া নজরদারি চালাবে পুলিশ।
তবে সরকারের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনের অধীনে দায়ের করা মামলাগুলির ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম প্রযোজ্য হবে। কেননা সেক্ষেত্রে বর্ণ সনাক্তকরণের আইনি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে চলা নিশ্চিত করতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) এবং পুলিশ ম্যানুয়ালগুলিতেও সংশোধন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
বর্ণ-বৈষম্য দূর করতে পদক্ষেপ, কি বলছে বিরোধীরা?
মূলত, যোগী রাজ্যে বর্ণ বৈষম্য দূর করতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট এই নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশিকা মেনেই কঠোরভাবে রাজ্যজুড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তবে ৫০০০ বছর ধরে চলে আসা এই জাতিভেদ, বর্ণবৈষম্য শুধুমাত্র স্টিকার, চিহ্ন মুছে দিলেই কি চলে যাবে? প্রশ্ন ছুঁড়েছে বিরোধীরা।
এক্সে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব কটাক্ষ করেছেন, “জাতি বিশেষে পোশাক, আচার, রীতিনীতি নিয়ে বৈষম্য কীভাবে দূর করবে সরকার? কারো নাম উল্লেখ করার সঙ্গে সঙ্গেই তার জাত ভেবে নেওয়ার মানসিকতা কীভাবে দূর হবে? জাতপাতের পক্ষপাতিত্বে ভরা ষড়যন্ত্র বন্ধ করার জন্য কী করা হবে, যেখানে কাউকে ছোট করার জন্য, তাঁর উপর অত্যাচার করার জন্য মিথ্যা ও অপমানজনক অভিযোগ আনা হয়?”

আমাদের Google News এ ফলো করুন
২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।
