সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কিছু ছবিকে ঘিরে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পরতে হল বজরং দলকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বজরং দলের কর্মকর্তারা আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নিয়ে প্রশিক্ষণ করছেন। আর এহেন ঘটনাকে ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে কর্ণাটকজুড়ে। সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্কও।
সূত্রের খবর, কোদাগু জেলার পোন্নামপেটের সাই শঙ্কর এডুকেশনাল ইন্সটিটিউটে গত ৫ থেকে ১১ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ‘শৌর্য প্রতীক্ষা ভার্গা’র অংশ ছিল এই শিবির। বজরং দলের আয়োজিত এই শিবিরে প্রায় ৪০০ জন কর্মী অংশ নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে বজরং দলের এক কর্মী বলেন, অংশগ্রহণকারীদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের কোনও আসল অস্ত্র দেওয়া হয়নি।
এদিকে যে স্কুলে এই ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সেখানকার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরে ‘প্রশিক্ষন বর্গা’ প্রশিক্ষণের জন্য এই জায়গাটি ব্যবহার করা হচ্ছিল। কংগ্রেস নেতারা এই প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি এবং বিধায়ক দীনেশ গুন্ডু রাও এক টুইট বার্তায় লেখেন, “বজরং দলের সদস্যরা কেন অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন? উপযুক্ত লাইসেন্স ছাড়া আগ্নেয়াস্ত্রের প্রশিক্ষণ দেওয়া কি অপরাধ নয়? এটা কি অস্ত্র আইন ১৯৫৯, অস্ত্র বিধিমালা ১৯৬২-এর লঙ্ঘন নয়? এবং কেন বিজেপি নেতারা খোলাখুলিভাবে এই কার্যকলাপে অংশ নিচ্ছেন এবং সমর্থন করছেন?”
অন্যদিকে কংগ্রেস বিধায়ক রিজওয়ান আরশাদ টুইট করেছেন, ”এই বয়সে বেশির ভাগ যুবক স্বপ্ন পূরণের জন্য যাত্রা শুরু করে। কিন্তু কর্ণাটকে বজরং দল ধর্মের নামে সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রশিক্ষণ দিয়ে তরুণদের জীবন ধ্বংস করছে। যে কোনও মূল্যে এটা বন্ধ করতে হবে”।