ভারত পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর (Pakistani Artists)। তার সঙ্গে চলছে শাসক বিরোধী তরজা। এই আবহেই পাক শিল্পীদের নিষিদ্ধ করা নিয়ে মুখ খুললেন পর্দার বাবু রাও এবং রিয়েল লাইফের বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন আমি শিল্পী সেদিক থেকে বলতে গেলে শিল্পীদের নিষিদ্ধ করা উচিত নয়। কিন্তু সবার আগে আমি একজন ভারতীয়।
যখন পহেলগাঁওয়ের মতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে তখন মনে হয় পাকিস্তান সবসময়ই ভারতের শত্রু। তাই একজন ভারতীয় হিসেবে আমার মনে হয় পাকিস্তানী শিল্পীদের চান্স না দেওয়া। তিনি আরও বলেছেন আমি শিল্পী বলে সবসময় আমায় শিল্পের ধ্বজা নিয়ে ঘুরতে হবে এমন কোনো কথা নেই। অবশ্য ভারত পাক ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে মুখ খোলেননি পরেশ।
তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ভুঁয়শী প্রশংসা করে বলেন যোগী একদম সঠিক মানুষ। তিনি সবসময় একতার কথা বলেন এবং সময় এলে দুর্নীতিকে কড়া হাতে শাসন করেন। সম্প্রতি এশিয়া কাপে ভারত পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। অনেকেই ভারত পাকিস্তান ম্যাচ বয়কট করার কথা বলেছেন।
আম আদমি পার্টির সমর্থকরা আজ পাকিস্তান খেলোয়াড়দের কুশপুতুল পুড়িয়ে রাজধানীতে তাদের প্রতিবাদ দেখাচ্ছে। গতকাল শিবসেনাও এই ম্যাচে বয়কট করার ডাক জানিয়ে বলেছে প্রধানমন্ত্রী অপারেশন সিঁদুরের পর বলেছিলেন রক্ত আর জল একসঙ্গে বইতে পারে না। কিন্তু এশিয়া কাপের আবহে দেখা যাচ্ছে রক্ত এবং টাকা একসঙ্গে বইছে।
সুপ্রিম কোর্টেও এই ম্যাচ বাতিলের জন্য একটি পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন (পিআইএল) দায়ের হয়েছে। চারজন আইন ছাত্রী উর্মিলা জৈনের নেতৃত্বে আদালতে এই মামলা দায়ের করেছে। তারা আবেদন করেছে পাহেলগাঁও হামলা এবং অপারেশন সিঁদুরের পরিপ্রেক্ষিতে এই খেলা জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে। কিন্তু কোর্ট জরুরি শুনানির অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে ম্যাচ চলার পক্ষে রায় দিয়েছে ।”
এই সিদ্ধান্তের পরও প্রতিবাদ বন্ধ হয়নি। পাঞ্জাব কিংস আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি সোশ্যাল মিডিয়ায় ম্যাচ বয়কটের সমর্থনে পোস্ট দিয়ে বিতর্কে যোগ দিয়েছে। বিরোধী দলগুলো এটিকে ‘রক্তের টাকায় লাভের খেলা’ বলে অভিহিত করেছে।তবে পরেশ রাওয়ালের বক্তব্যে স্বীকৃতি জানিয়েছেন দেশের মানুষ।
৫ টাকার বিস্কুট, ১০ টাকার সাবান, কমছে না দাম, তবে মিলবে এই অফার
পরেশ রাওয়ালের বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মানুষ বলেছে পাকিস্তান সবসময় সন্ত্রাসবাদকে প্রমোট করে স্পনসর করে। তাদের দেশ থেকে কোনো শিল্পী দেশে এলে জাতীয় নিরাপত্তাতেও ঝুঁকি তৈরী হতে পারে।