ফৈজাবাদে বিজেপির পরাজয়ে কেমন হল রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি

হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী প্রাণ প্রতিষ্ঠার বার্ষিকী উদযাপন (Ayodhya Ram Mandir Anniversary) হয়েছিল ১১ জানুয়ারি। কিন্তু আজ থেকে এক বছর আগে ২২ জানুয়ারি ছোট্ট রামলালার চক্ষুদান…

Ayodhya Ram Mandir Anniversary Celebrations

হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী প্রাণ প্রতিষ্ঠার বার্ষিকী উদযাপন (Ayodhya Ram Mandir Anniversary) হয়েছিল ১১ জানুয়ারি। কিন্তু আজ থেকে এক বছর আগে ২২ জানুয়ারি ছোট্ট রামলালার চক্ষুদান করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদী। এরপর থেকে সরযূ নদী দিয়ে বয়ে গিয়েছে প্রচুর জল। তারমধ্যে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে জয় পেয়ে তৃতীয়বারের জন্য মসনদে বসেছে মোদী সরকার। তবে আলোচনার শিরোনামেই রয়ে গিয়েছে অযোধ্যা। কারণ কয়েক শতক পর রাম নিজের পুরানো জায়গা পেলেও, রামমন্দির নির্মাণ করে ফৈজাবাদ লোকসভায় শেষ হাসি ফোটেনি বিজেপির। যা নিয়ে কেন্দ্রের শাসক দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। সেখানেই এক বছর পর অযোধ্যার রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ভিড় করতে দেখা গেল রাম ভক্তদের।

   

১১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রথম বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছিল। যা শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের সরকারি ঘোষণায় জানানো হয়। হিন্দু পঞ্জিকার অনুযায়ী হিন্দু উৎসব পালনের ঐতিহ্য বিবেচনা করে ট্রাস্টের পক্ষ থেকে প্রভু শ্রী রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার বার্ষিক উদযাপন ১১ জানুয়ারি ‘পৌষ শুক্লা দ্বাদশী’ তে অনুষ্ঠিত হয়। যা বিষ্যতে এই তারিখটি ‘প্রতিষ্ঠা দ্বাদশী’ হিসেবে পরিচিত হবে।

তিন দিনের উদযাপনে মন্দিরের প্রথম তলে রাম দরবারের আনুষ্ঠানিক প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ৪.৫ ফুট উচ্চতার শালিগ্রাম শিলা দিয়ে তৈরি হয় রাম মূর্তি। সঙ্গে মাতা সীতা, হনুমান এবং রামের ভাই ভরত, লক্ষণ ও শত্রুঘ্নের।

হায়দরাবাদ এক ভক্ত সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, তিনি এবং তার পরিবার প্রায় তিন মাস ধরে অযোধ্যায় এই সফরের পরিকল্পনা করছিলেন। তিনি বলেন “আমরা তিন দিন আগে প্রয়াগরাজ গিয়েছিলাম এবং মহাকুম্ভে স্নান করেছি। এই মুহূর্তটির জন্য ৫০০ বছরের সংগ্রাম চলেছে। প্রস্তুতি ভালোভাবে নেওয়া হয়েছে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, অথবা মন্দিরের ভিতরের সুবিধা সবকিছুই ভালভাবে ব্যবস্থা করা হয়েছে,”।

রাজস্থানের আরেক ভক্ত বলেন, “আমরা এখানে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি উদযাপন করতে এসেছি। আমরা খুবই আনন্দিত, যে তার আশীর্বাদে আমরা আজ এখানে এসেছি। অনেক মানুষ কঠোর পরিশ্রম করেছেন অযোধ্যায় রামলালাকে প্রতিষ্ঠিত করতে।”

উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের মন্ত্রী জৈবীর সিংহ দিনটিকে “ঐতিহাসিক” হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, “৫০০ বছরের সংগ্রাম এবং ত্যাগের পর, গত বছর এই দিনেই ‘রাম লাল্লা’ অযোধ্যায় ‘বিরাজমান’ হন।”

তিনি এক সংবাদ সংস্থাকে জানানা, “আজ আমাদের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আধ্যাত্মিক সমাবেশ মহাকুম্ভে অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এটি ঈশ্বরের আশীর্বাদ যে আজ আমাদের এই সুযোগটি হয়েছে।”

রাম জন্মভূমি মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেন , “রাম দরবার প্রথম তলে নির্দিষ্ঠ সময়ের মধ্যেই স্থাপন করা হবে।” তিনি আরও জানান, ভবনের ফায়ার পোস্ট এবং বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, পাশাপাশি জল পরিশোধন পরিকল্পনা যার কাজ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। সেগুলি পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে রাম মন্দির ট্রাস্টকে হস্তান্তর করা হবে। এই ভাবেই রামমূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তিতে ভক্তদের সমাগম উপছে পড়েছে অযোধ্যার রাম জন্মভূমিতে।