HomeBharatযোগী রাজ্যে সেনা জওয়ানের জমি দখল করে হুজ্জতি ইরফান-মুস্তাকের

যোগী রাজ্যে সেনা জওয়ানের জমি দখল করে হুজ্জতি ইরফান-মুস্তাকের

- Advertisement -

লখনউ, ১ ডিসেম্বর: উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা জেলার গোসাইগঞ্জে এক সেনা জওয়ানের জমি দখলের ঘটনা ঘিরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। এই ঘটনা রাজ্যের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। অভিযোগ, স্থানীয় নেতা মোহাম্মদ ইরফান আব্বাসি এবং মোহাম্মদ মুস্তাক আহমেদ নামে দুই ব্যক্তি সেনা জওয়ান রুদ্র মোহন পাণ্ডের প্লটটি দখল করে নিয়েছে, এবং এতে পুলিশের মদত ছিল। জওয়ানের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যাতে তিনি নিজের অভিযোগ তুলে ধরেছেন।

জেলা প্রশাসক (DM) এবং মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, যা স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনা শুধু একজন সেনা জওয়ানের ব্যক্তিগত লড়াই নয়, বরং জমি মাফিয়ারা কীভাবে প্রশাসনের ঢাল নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে, তার এক জ্বলজ্বল করা উদাহরণ।রুদ্র মোহন পাণ্ডে, যিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন সক্রিয় জওয়ান, ২০১৮ সালে গোসাইগঞ্জের একটি এলাকায় জমির প্লট কিনেছিলেন।

   

শীতকালীন অধিবেশনে SIR নিয়ে বিস্ফোরক বাম সাংসদ

সেনা সেবার মধ্যে দেশের সীমান্ত রক্ষা করছেন বলে তাঁর পরিবার এই জমির উপর নির্ভরশীল ছিল ভবিষ্যতে একটি ছোট বাড়ি তৈরি করে স্থায়ী আশ্রয়ের স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু ২০২৪ সালের শেষের দিকে স্থানীয় ল্যান্ড মাফিয়া, যাদের নেতৃত্বে আছেন মোহাম্মদ ইরফান আব্বাসি এবং মোহাম্মদ মুস্তাক আহমেদ, সেই প্লটে অবৈধভাবে ঘর বানিয়ে দখল করে নেয়। পাণ্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি ক্যামেরায় বলছেন, “আমি দেশের জন্য লড়াই করি, কিন্তু আমার নিজের জমি ফিরিয়ে আনতে পারছি না।

পুলিশ এদের সুরক্ষা দিচ্ছে, এবং আমার অভিযোগের কোনো জবাব নেই।” ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন যে, দখলকারীরা প্লটে একটি অস্থায়ী কাঠের ঘর তুলে ফেলেছে এবং চারপাশে বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছে। এই অভিযোগের গভীরতা আরও বাড়িয়েছে স্থানীয়দের বর্ণনা।

গোসাইগঞ্জের একজন বয়স্ক বাসিন্দা বলেন, “ইরফান এবং মুস্তাক এই এলাকার কুখ্যাত ল্যান্ড মাফিয়া। তারা হুজ্জতি সংগঠনের নামে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করে জমি দখল করে। কিন্তু এবার একজন সেনা জওয়ানের জমি—এটা অসহনীয়।” পাণ্ডের পরিবার বলছে, তারা প্রথমে স্থানীয় থানায় FIR দায়ের করেছিলেন, কিন্তু পুলিশ কোনো তদন্ত শুরু করেনি।

পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয়ে এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের অফিসে লিখিত অভিযোগ পাঠানো হয়েছে, কিন্তু এক মাস অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। একজন স্থানীয় এনজিও কর্মী বলেন, “এটা শুধু জমি দখল নয়, সেনা জওয়ানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। দেশ রক্ষা করার জন্য যারা প্রাণ দিয়ে লড়েন, তাদের নিজের অধিকার রক্ষা করতে পারছে না।”

- Advertisement -
online desk
online desk
Get Bengali news updates, Bengali News Headlines , Latest Bangla Khabar, Bengali News from Kolkata
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular