নয়াদিল্লি, ১ অক্টোবর: ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army) ভবিষ্যতের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর অর্থ হল, শত্রু জাতির সাথে ভবিষ্যতে যে কোনও উত্তেজনার ক্ষেত্রে, এক ধাক্কায় ঝাঁক ড্রোনের মতো আক্রমণ ধ্বংস করার ক্ষমতা দিয়ে সজ্জিত করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, সীমান্তবর্তী এলাকায় নজরদারি, ঝাঁক আক্রমণ এবং নির্ভুল হামলার জন্য কম দামের ড্রোনগুলি অপরিহার্য হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। ফলস্বরূপ, ভারতীয় সেনাবাহিনী একটি দেশীয় কোম্পানির সাথে ১২ টি পোর্টেবল কাউন্টার ড্রোন সিস্টেম (MPCDS) অর্ডার দিয়েছে। এর পরিসর চিন-পাকিস্তান সীমান্তে ৫ কিলোমিটার পুরু নিরাপত্তা প্রাচীর নির্মাণ করতে সক্ষম।
এই ম্যান পোর্টেবল কাউন্টার ড্রোন সিস্টেমটি কী?
MPCDS হল এক ধরণের অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম যা আকাশে শত্রুদের সনাক্ত করে ধ্বংস করতে সক্ষম। প্রতিবেদন অনুসারে, এই সিস্টেমটি সমন্বিত রাডার এবং ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সেন্সর ব্যবহার করে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পরিসরে শত্রু ড্রোন সনাক্ত করতে পারে।
ইতিমধ্যে, এর জ্যামিং মডিউলটি VHF থেকে Ka-ব্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত ফ্রিকোয়েন্সি স্পেকট্রাম জুড়ে কমান্ড-এন্ড-কন্ট্রোল সিগন্যালগুলিকে ব্যাহত করে, যার ফলে ড্রোনগুলি উড্ডয়নের মাঝখানে অ-গতিশীলভাবে অক্ষম হয়ে পড়ে।
এই সিস্টেমটির ওজন ১৫ কিলোগ্রামেরও কম এবং এটি ব্যাকপ্যাকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি সৈন্যদের উচ্চ-উচ্চতার ফাঁড়ি থেকে শুরু করে শহুরে সংঘর্ষ পর্যন্ত গতিশীল যুদ্ধক্ষেত্রে দ্রুত এটি মোতায়েন করার ক্ষমতা দেয়।
জরুরি আদেশের অর্থ কী?
ভারতীয় সেনাবাহিনীর জরুরি ক্রয় প্রোটোকল চালু করার লক্ষ্য হল সংবেদনশীল সীমান্তে অপারেশনাল ইউনিটগুলিতে এই সিস্টেমগুলির সরবরাহ ত্বরান্বিত করা যাতে এগুলি তাৎক্ষণিকভাবে মোতায়েন করা যায়।
একই সাথে, AxisCADS বলেছে যে এই আদেশটি কেবল ইলেকট্রনিক যুদ্ধক্ষেত্রে তার গবেষণা ও উন্নয়ন ক্ষমতাকে বৈধতা দেয় না, বরং স্বনির্ভর ভারতের চেতনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিতে স্বনির্ভরতাকেও উৎসাহিত করে। বেঙ্গালুরু ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানের জন্য এই আদেশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।