৭ বার পিছিয়েছে উৎক্ষেপণ। প্রতিবারই নতুন করে আশায় বুক বেঁধেছে মহাকাশপ্রেমীরা। এবার NASA জানিয়ে দিল, সব ঠিক থাকলে আগামী বুধবার, ২৫ জুন ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা করবে Axiom Mission 4 (Ax-4)। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ফের একবার লঞ্চের ডেডলাইন ঠিক হল।
এই মিশনের নেতৃত্বে রয়েছেন ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা। SpaceX-এর ড্রাগন ক্যাপসুলে চড়ে চার সদস্যের দল পাড়ি দেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (ISS) দিকে। লঞ্চের পর আনুমানিক ২৮ ঘণ্টার মধ্যে, ২৬ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে ডকিংয়ের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বিলম্বের পেছনের কারণ
Ax-4 মিশন দীর্ঘদিন ধরে বিলম্বের শিকার হয়েছে নানা কারণে। শুরু হয়েছিল আবহাওয়া ও প্রযুক্তিগত জটিলতায়, বিশেষত ফ্যালকন ৯ বুস্টারে তরল অক্সিজেনের লিক ধরা পড়ায় জুনের শুরুতেই উৎক্ষেপণ বাতিল করতে হয়েছিল। এরপরই আরও বিলম্ব ঘটেছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের রাশিয়ার Zvezda মডিউলে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে।
Zvezda মডিউলটি ISS-এর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেখানে মহাকাশচারীদের বসবাস ও জীবন রক্ষাকারী সিস্টেম রয়েছে। সম্প্রতি রুশ মহাকাশচারীরা সেখানে বায়ুর ক্ষুদ্র লিক শনাক্ত করে তা দ্রুত মেরামত করলেও NASA পুরো স্টেশনের স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত সময় নিয়েছে।
ISS ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব axiom-mission-4-launch-date
পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে মহাকাশ গবেষণার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র ISS—যা NASA, রাশিয়া, ESA, জাপান ও কানাডার যৌথ প্রয়াসে পরিচালিত। এই মহাকাশ গবেষণাগার বিভিন্ন দেশের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাইলফলক হিসেবে কাজ করছে।
NASA-এর বাণিজ্যিক মহাকাশ অভিযানের অংশ হিসেবে Ax-4 হল চতুর্থ বেসরকারি ক্রু মিশন যা স্পেস স্টেশনে পৌঁছবে। এর মাধ্যমে স্পেস এক্সপ্লোরেশন ও বাণিজ্যিক মহাকাশ অভিযানগুলো নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
ভবিষ্যৎকে ধারণ করে
Ax-4 মিশনের সাফল্য মহাকাশ গবেষণায় বেসরকারি উদ্যোগের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি করবে। বিশ্বব্যাপী মহাকাশ প্রযুক্তিতে সহযোগিতা ও প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে মানবজাতির মহাকাশ অভিযানের নতুন অধ্যায় শুরু হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
NASA আরও জানিয়েছে, লঞ্চের সময় ও পরবর্তী ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য শিগগিরই জানানো হবে।
বিশেষ মন্তব্য: কলকাতার পাঠকদের জন্য এই ঘটনা মহাকাশ গবেষণায় ভারতের পাশাপাশির উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক মহাকাশ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর আগ্রহ ও সম্ভাবনারও ইঙ্গিত বহন করে।