অসমের (Assam) নগাঁও জেলায় এক বিপজ্জনক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের (Royal Bengal Tiger) উপর লোকালয়ের মানুষের দ্বারা হামলার অভিযোগ উঠেছে। বুধবারের এই ঘটনায়, বাঘিনীর দুটি চোখই গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে বন দফতরের সূত্রে জানা গেছে।
কুণালের হুঁশিয়ারি, ‘পুলিশকর্মীদের বাঘ পাহারায় পাঠাবো, বিরোধীদের পালটা মন্তব্য
স্থানীয় সূত্রে খবর, কামাখ্যার সংরক্ষিত অরণ্য থেকে বেরিয়ে তিন বছরের ওই বাঘিনী লোকালয়ে প্রবেশ করে। এটি গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। স্থানীয় মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে, এবং আশেপাশের কয়েকটি গ্রামে এই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার মানুষজন বাঘের উপস্থিতি দেখে দিশাহারা হয়ে পড়ে এবং শতাধিক গ্রামবাসী মিলে বাঘিনীকে ঘিরে ফেলে।
হঠাৎ এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অভিযোগ করা হচ্ছে যে, বাঘিনীকে ঘিরে ধরার পর ইট, পাথর এবং লাঠি দিয়ে হামলা চালানো হয়। গ্রামবাসীরা বিপদের সম্মুখীন হয়ে পশুটিকে ধাওয়া করে এবং তার উপর শারীরিক আক্রমণ চালায়। এমন ঘটনাগুলো সাধারণত ঘটে যখন মানুষ বন্যপ্রাণীর সঙ্গে তাদের অঞ্চল ভাগ করে নেয় এবং প্রাণীগুলো তাদের আবাসস্থল থেকে বেরিয়ে আসে।
মমতার হুঁশিয়ারির পর পাচারের অভিযোগে ২ তৃণমূল নেতা গ্রেপ্তার, বিরোধীরা বলছে ‘আই ওয়াশ’
বন দফতরকে খবর দেওয়া হলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং বাঘিনীটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। উদ্ধারের পর পশুটির অবস্থার গুরুত্ব বোঝা যায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাঘিনীর একটি চোখ সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে গেছে, এবং অন্যটি বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ধরনের ঘটনার পেছনে রয়েছে মানুষের বন্যপ্রাণীর প্রতি অজ্ঞতা এবং আতঙ্ক। অনেক সময় গ্রামবাসীরা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য পশুটিকে আক্রমণ করতে বাধ্য হন, কিন্তু এটি একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করে। বাঘের মতো বন্য প্রাণীকে আহত করা তাদের জীবনের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, এবং এটি পরিবেশের ভারসাম্যকেও বিঘ্নিত করে।
CPIM: ‘শূন্যে’র থেকে রেহাই কবে? পিকের মতো ‘আইপ্যাক’ গড়তে বিজ্ঞাপণ সিপিএমের
বন দফতর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তারা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করবে এবং এ বিষয়ে আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তারা স্থানীয় জনগণের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সচেতনতা কার্যক্রম চালানোর পরিকল্পনা করছে, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়ানো যায়। বন্যপ্রাণী ও মানুষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সঠিকভাবে তাদের মধ্যে সহাবস্থান তৈরি করাটা জরুরি।
এদিকে, বাঘিনীর চিকিৎসা চলছে এবং তার স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য বিশেষজ্ঞ veterinarians নিয়োগ করা হয়েছে। বাঘিনীর চোখের চিকিৎসার পাশাপাশি তার অন্যান্য ক্ষতগুলোও সারিয়ে তোলার চেষ্টা চলছে।