Sheikh Hasina: আপাতত ভারতেই ঠাঁই বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার, কী বললেন হানসাল মেহতা ও কঙ্গনা?

আপাতত ভারতেই রয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে লড়া প্রবীণ সৈনিকদের পরিবারের জন্য সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ চাকরি ৩০ শতাংশ…

আপাতত ভারতেই রয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে লড়া প্রবীণ সৈনিকদের পরিবারের জন্য সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ চাকরি ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ রাখার প্রতিবাদে ছাত্ররা গত মাসে শুরু হওয়া বিক্ষোভ পরে সহিংসতায় পরিণত হয় যেখানে গোটা ছাত্রসমাজ কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নেমে পড়ে। এই ছাত্র আন্দোলন একটি বিপদজনক মোড় নেয় যখন ছাত্ররা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করে। এই বছরের জানুয়ারিতেই চতুর্থ বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি। বর্তমানে পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। এই বিষয়ে এবার মুখ খুললেন পরিচালক হানসাল মেহতা (Hansal Mehta) এবং অভিনেত্রী-সংসদ কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)।

বিধানসভায় হুলুস্থূল, নিরাপত্তারক্ষীকে কামড়ালেন কংগ্রেস বিধায়ক!

   

একটি লম্বা টুইটার পোস্টে সোমবার নিজের ২০২২ সালের ছবি ‘ফারাজ’ (Faraaz) এর পোস্টার শেয়ার করে পরিচালক হানসাল মেহতা (Hansal Mehta) লিখেছেন,” বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো দেখে ফারাজের মুক্তির সময়ের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। এটি নেটফ্লিক্সে বাংলাদেশ ছাড়া প্রায় সব দেশেই মুক্তি পায়। বাংলাদেশে এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ২০১৬ সালের হলি আর্টিজান বেকারি, ঢাকা অ্যাটাক অবলম্বনে তৈরী ‘ফারাজ’-এর মুক্তি প্রায় ১৮ মাস ধরে আটকে রাখতে চাওয়া হয়েছিল। আমার বাড়িতে সে সময়ের বাংলাদেশ হাইকমিশনার দেখা করেছিলেন। তার পরথেকেই আমাকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হয়েছিল এবং ভারতীয় ‘মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়’ থেকে অনুমিত সূত্রের দ্বারা ফোন করে আমাকে বলা হয়েছিল যে ছবিটি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে। “

পোস্টে তিনি (Hansal Mehta) আরও লেখেন, “আমার কাছে এসেছে উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের কাছ থেকে একাধিক ফোন, কথিত গোপন পরিষেবা এজেন্টদের থেকে ফোন, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের কাছ থেকে হুমকি (যার জন্য আমাকে পুলিশের দ্বারস্থ হতে হয়েছে), আমার বিরুদ্ধে ভারতীয় আদালতে দীর্ঘ মামলা দায়ের করা হয়েছিল, এবং অনেকের দ্বারা অভিযোগও করা হয়েছিল যারা আমাকে বলেছিলেন “এটি আপনার বলার গল্প নয়। আমি আজও বাংলাদেশের আদালতে মামলা লড়ছি।”

এরপর তিনি (Hansal Mehta) যোগ করেছেন, “এই সব ক্রিয়াকলাপ একটি চলচ্চিত্রের মুক্তি ঠেকানোর জন্য যা দৃশ্যত শেখ হাসিনার সরকারকে সমালোচনার দৃষ্টিভঙ্গিটা দেখায়। এটি এমন একটি সরকার যা চায়নি যে বাংলাদেশের বাইরে কেউ জানুক না যে তারা কেবল অযোগ্য এবং একজন উচ্চ স্বৈরাচারী নেতা দ্বারা চালিত, যিনি নিজের বিরুদ্ধে কোনও সমালোচনাকে নিতে পারতেন না।”

“তারা আমাদের কণ্ঠস্বর বন্ধ করে তাদের রক্তাক্ত হাত ঢাকতে চেয়েছিল এবং এমন একটি গল্প বলার আমাদের অধিকার যা আমাদের সময়ের আয়না, আমাদের যুবকদের সম্পর্কে একটি সতর্কতামূলক গল্প, কর্তৃত্ববাদী সরকার এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রের সমালোচনা করে। আমি আশা করি বাংলাদেশের জনগণের জন্য অবশ্যই ন্যায়বিচার প্রদান করা হবে তবে এমন প্রতিটি দেশও যে এই ধরনের প্রতিষ্ঠার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। সাম্য, সত্য ও ন্যায়ের সর্বদা জয় হোক। মুক্ত বিশ্বের প্রতিটি নাগরিক মাথা উঁচু করে দাঁড়ান।” এই কথার সঙ্গে পোস্টটি শেষ করেন পরিচালক (Hansal Mehta)।

এদিন বাংলাদেশের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবং অভিনেত্রী-সংসদ কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut) সোমবার একটি টুইটার পোস্টে লিখেছেন, “আমাদের চারপাশের সমস্ত ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের আদি মাতৃভূমি ভারত। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভারতে নিরাপদ বোধ করছেন শুন্য আমরা সম্মানিত, কিন্তু যাঁরা ভারতে থাকেন তাঁরা সবাই প্রায়ই প্রশ্ন করে থাকেন ‘কেন হিন্দু রাষ্ট্র?’ ‘কেন রামরাজ্য?’, তাঁদের আমি প্রশ্ন করছি, এবার উত্তর পেলেন তো? মুসলিম দেশে কেউ নিরাপদ নন, এমনকি মুসলমানরাও নন । আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং ব্রিটেনে যা ঘটছে তা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা ভাগ্যবান যে আমরা রাম রাজ্যে বাস করছি।”