হিন্দু না হলে চিকিৎসা নেই? উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্নে তোলপাড়

assam-hslc-2025-social-science-question-controversy-seba

অসমে চলমান উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যে একটি প্রশ্নপত্র নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই ঘটনা শিক্ষা ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। প্রশ্নটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে উঠেছে।

Advertisements

বিতর্কের ঝড় ৫৭ নম্বর প্রশ্নে, “ধরুন সরকার ডাম্বুক গ্রামে একটি হাসপাতাল স্থাপন করেছে। হাসপাতালটি হিন্দুদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়, অন্য ধর্মের লোকদের খরচ নিজেদের বহন করতে হয়। ভারতের মতো দেশে সরকার কি এই ব্যবস্থা নিতে পারে? মতামত দাও।” এই প্রশ্ন শিক্ষা ব্যবস্থার উপর প্রশ্ন তুলেছে।

এক্স-এ একজন লিখেছেন, “এটা কি আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা? সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবর্তে বিভেদমূলক নীতি কেন শেখানো হচ্ছে?” বিশিষ্ট কবি নীলিম কুমার বলেন, “এটি প্রশ্ন নয়, সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ছায়া। ‘পারে’ বা ‘পারে না’—দুটোই সঠিক হতে পারে। এটা মতামত চাওয়ার বিষয়, প্রশ্ন তোলার নয়।”

Advertisements

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন লিখেছেন, “ম্যাট্রিকে এমন জটিল প্রশ্ন ছাত্রদের মানসিক নির্যাতন।” আরেকজন বলেন, “এটি শিশুদের মনে বিষ ঢোকানোর চেষ্টা, ভয়ঙ্কর!” তৃতীয়জন যোগ করেন, “এমন প্রশ্নের উদাহরণ পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। এটি দীর্ঘদিন মানুষের মনে বিষ ছড়াবে।”

তবে কেউ কেউ সমর্থন জানিয়েছেন। একজন লিখেছেন, “প্রশ্নকর্তাকে সাধুবাদ। এটি প্রশাসনিক পরীক্ষার মতো চিন্তাশক্তি যাচাই করে।” আরেকজন বলেন, “প্রশ্নটি খারাপ নয়। ভারত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র, সংবিধানের ধারা ১৪ বৈষম্য নিষিদ্ধ করে। এটি শিক্ষার্থীদের সচেতনতা পরীক্ষা করে।”

এখন বিতর্কের মূলে প্রশ্নটির গ্রহণযোগ্যতা। অনেকে বলছেন, “ম্যাট্রিকে এমন প্রশ্ন অগ্রহণযোগ্য।” আবার কেউ মনে করেন, “এটি সাংবিধানিক জ্ঞান পরিমাপের সুযোগ।” এই ঘটনা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশ্নপত্র কতটা উপযুক্ত হওয়া উচিত, তা নিয়ে বড় আলোচনার জন্ম দিয়েছে।