গুয়াহাটি: বিপর্যয় দরজায় কড়া নেড়ে আসে না। রবিবার বিকাল ৪.৪১ মিনিটে কেঁপে (Earthquake) ওঠে অসম সহ উত্তরবঙ্গ এবং প্রতিবেশী ভুটানের একাংশ। রিখটার স্কেলে যার তীব্রতা ছিল ৫.৯। কেন্দ্রস্থল ছিল উদলগিরি শহরের ৫ কিলোমিটার গভীরে। এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে অসম সহ উত্তরবঙ্গের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। উত্তরপূর্বের পাহাড়ে ভূমিকম্প নতুন নয়। তবে সম্ভবত, আফগানিস্তানের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের পর সকলের মনেই আতঙ্ক দানা বেঁধেছে।
Earthquake: অভিজ্ঞতা জানাচ্ছেন বাসিন্দারা
ছুটির দিনের বিকেলে পরিবারের সঙ্গে গল্পগুজবে ব্যস্ত ছিলেন অসমের (Assam) মানুষজন। কেউকেউ টিভির পর্দায় দেখে নিচ্ছিলেন দিনভর নরেন্দ্র মোদীর অসম সফরের আপডেট। আচমকা মেদিনী যেন কেঁপে উঠল। মাথার উপরের পাখাও জোরে জোরে দুলতে লাগল। ভয়ে পরিবার সহ বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন গুয়াহাটির বাসিন্দারা।
গুয়াহাটির বাসিন্দা অনিতা গোস্বামী বলেন, “আমার মনে হচ্ছিল এই কম্পন যেন থামার নয়। এক মিনিটের জন্য মনে হল মারা গেছি। মনে হচ্ছিল, মাথায় ছাদ ভেঙে পড়বে!” এক্স-এ একজন ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “ভূমিকম্পের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে এখনও আতঙ্কে আমার হাত-পা কাঁপছে।” গুয়াহাটির আর এক বাসিন্দা বলেন, “প্রথমে মনে হচ্ছিল কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়ত কম্পন থেমে যাবে। কিন্তু থামছে না দেখে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। আমার ভাই দোতলায় ছিল। মনে হচ্ছিল, যদি বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়ে!”
অন্যদিকে, অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সরবন্দনা সনওয়াল এক্স-এ লেখেন, “অসমে ভয়াবহ ভূমিকম্প। আমি সকলের সুরক্ষা কামনা করছি এবং প্রত্যেককে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি”। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত শর্মা জানিয়েছেন, “এখনও পর্যন্ত কারও মৃত্যু বা বড় ক্ষয়ক্ষতির কোনও তথ্য আসেনি। তবে ঘটনার ওপর নজরদারি রাখা হচ্ছে।”
Earthquake: তীব্র কম্পন উত্তরবঙ্গেও
রবিবার বিকেলের ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং মালদায় সবচেয়ে বেশি কম্পন অনুভূত হয়। আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা। মালদায় এক বাসিন্দা জানান, “আমরা বাড়িতে বসে ছিলাম, হঠাৎ মাটি কেঁপে উঠল। কয়েক সেকেন্ডের জন্য সবকিছু যেন থমকে গেল।” শিলিগুড়ির এক বাসিন্দা ভূমিকম্পের সময়কার ভিডিও রেকর্ড করেন। সেখানে দেখা যায়, তাঁর ঘরের পাখা ভয়ঙ্কর ভাবে দুলছে। তবে উত্তরবঙ্গেও এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।