জয়পুর: বাড়ল না মেয়াদ। আসারাম বাপুর (Asaram Bapu) অন্তর্বর্তীকালিন জামিনের আর্জি খারিজ করল যোধপুর হাইকোর্ট (Jodhpur High Court)। জাস্টিস দীনেশ মেহতা এবং জাস্টিস বিনীত কুমারের বেঞ্চের এই নিদানের পরেই সাফ হয়ে গেল যে ফের জেল যাচ্ছে আসারাম। যদিও প্রয়োজনে ফের আবেদন করতে পারবে সে। আহমেদাবাদ সিভিল হসপিটালের রিপোর্টকেই ধার্য করে অন্তর্বর্তী জামিনের আর্জি খারিজ করল আদালত। আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে আত্মসমর্পণ করতে হবে আসারামকে।
জামিনের সময়সীমা বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল কোর্ট
নিজেকে স্বয়ম্ভূ সাধু বলে দাবী করা আসারাম নিজের গুরুকুলে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত। আসারামের মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখে ১২ আগস্ট অবধি জামিনের অনুমতি দিয়েছিলেন জাস্টিস দীনেশ মেহতা এবং জাস্টিস বিনীত কুমারের বেঞ্চ। সম্প্রতি ইন্দোরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময় গুজরাত হাইকোর্ট (Gujrat High Court) আসারামের ২১ আগস্ট পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে।
গতবারের শুনানিতে কি বলেছিল আদালত?
আসারামের মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখে ওর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আহমেদাবাদের একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের বোর্ড গঠন করার নির্দেশ দেয় আদালত। চিকিৎসকদের বোর্ডে একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞকে রাখারও আদেশ দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে, জামিনের সময়কাল শেষ হওয়ার দুদিন আগে অর্থাৎ ২৭ তারিখের মধ্যে আদালতে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
একাধিক ধর্ষণের পরেও পেয়েছিল অন্তর্বর্তী জামিন!
স্বঘোষিত গুরু আসারাম ২০১৩ সালে নিজের গুরুকুলেই এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় ২০১৮ সালে রাজস্থানের জয়পুরের নিম্ন আদালত দোষী সাব্যস্ত হন আসারাম৷ তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। ২০২২ সালে রাজস্থান হাই কোর্টে জামিনের আর্জি জানান স্বঘোষিত ধর্মগুরু। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়৷ পরের বছর, অর্থাৎ ২০২৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি।
২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে, গুজরাতের গান্ধীনগরের আশ্রমে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগেও দোষী সাব্যস্ত হন আসারাম। সেই বছর সেপ্টেম্বর মাসে শীর্ষ আদালতেও খারিজ হয়ে যায় আসারামের জামিনের আর্জি৷ গত বছর জামিনের আবেদন জানানোর পাশাপাশি যাবজ্জীবন সাজার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন স্বঘোষিত ধর্মগুরু। জেলে তাঁকে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার সুযোগ করে দেওয়ার আর্জিও জানান তাঁর আইনজীবী।