লোকসভায় কংগ্রেস ১০০-র কাছাকাছি আসনে এগিয়ে। ‘ইন্ডি’ জোটের অন্যান্য শরিকদের ফলাফলও সন্তোষজনক। শাসক এনডিএ-র সঙ্গে বিরোধী জোটের ফারাক ৭০ আসনের। এই পরিস্থিতিতে ‘ইন্ডি’ জোটের নেতাদের নজরে বিজেপি বিরোধী দলগুলো, এমনকী এনডিএ-র শরিকরাও! ইতিমধ্যেই ‘ইন্ডি’ জোটের নেতারা নাকি এনডিএ শরিক চন্দ্রবাবু নাইডু, একনাথ শিণ্ডে শিবসেনা শিবিরের সঙ্গে কথা বলেছেন।
জানা গিয়েছে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে চিরাগ পাসোয়ান (এলজেপি) ছাড়াও, চন্দ্রবাবু নাইডুর (টিডিপি), নীতীশ কুমার (জনতা দল ইউনাইটেড) এবং নবীন পট্টনায়কের (বিজেডি) এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
‘ইন্ডি’ জোটের নেতাদের এই মরিয়া পদক্ষেপের মধ্যেই কলকাতায় তৃমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষার কথা বলেছেন। মমতার কথায়, ‘এখনও চলছে গণনা। দয়া করে অপেক্ষা করুন। সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’ ফলে মমতার ‘অপেক্ষা’ করতে বলার মধ্যেও গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর দল ১২টি আসনে এগিয়ে থেকে সব ভোট পর্যবেক্ষকদের অবাক করেছে। নীতীশের দলের সঙ্গী বিজেপিও এগিয়ে ১২ আসনে। জেডিইউ-এর একজন সিনিয়র নেতা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, দলের আনুগত্য পরিবর্তন করার সম্ভাবনা কম। তবুও, একজন কংগ্রেস নেতা উল্লেখ করেছেন যে, নতীশ কুমার বিজেপির উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেননি।
নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, এই বছর এনডিএ-তে ফিরে যাওয়ার আগে নীতীশ কুমার ‘ইন্ডি’ জোটের নেতৃস্থানীয় শক্তি ছিলেন।
কংগ্রেসের দাবি, চেষ্টা করা হবে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডেকে বোঝানোর। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে যদিও প্রচারের সময় উভয় পক্ষের মধ্যে তিক্ত আক্রমণ বিনিময় হয়েছে। বিরোধী জোট একটি ইতিবাচক ফলাফলের জন্য আশাবাদী।
আনুষ্ঠানিকভাবে, পট্টনায়েক বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয়ের সঙ্গে সমান দূরত্ব বজায় রাখলেও, বিজেডি বিধানসভায় কংগ্রেসের সাহায্য চেয়েছে। কংগ্রেস ওডিশা বিধানসভায় ২০১৯ সালে কংগ্রেস পেয়েছিল ৯টি আসন। এবার সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬।