সিএজি (Comptroller and Auditor General of India) রিপোর্টে দিল্লির আপ সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুর্ব্যবস্থাপনা উঠে আসার পর বিজেপি বিধায়ক তরবিন্দর সিং মারওয়াহ সোমবার দাবি করেছেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবার জেলে গেলে জামিন পাবেন না। তিনি বলেন, “১৪টি সিএজি রিপোর্ট আসার কথা ছিল, মাত্র দুটি এসেছে। কেজরিওয়াল কোনও বিভাগকে দুর্নীতিমুক্ত রাখেননি। কোভিড-১৯-এ ৮০ শতাংশ মৃত্যুর জন্য তিনি দায়ী। এবার জেলে গেলে জামিন মিলবে না।”
বিজেপি বিধায়ক শিখা রয় বলেন, “সিএজি (CAG) রিপোর্টে দিল্লির স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা স্পষ্ট। ইডব্লিউএস (EWS) শ্রেণির জন্য যে চিকিৎসা দেওয়ার কথা ছিল, তা দেওয়া হয়নি। বেসরকারি হাসপাতালের ওপর নজরদারিও ছিল না।” ২৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা বিধানসভায় ‘পাবলিক হেলথ ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং হেলথ সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট’-এর সিএজি রিপোর্ট (CAG report) (রিপোর্ট নং ৩, ২০২৪) পেশ করেন। রিপোর্টে (CAG) তহবিলের অপব্যবহার, প্রকল্পে দেরি, কর্মী ও ওষুধের ঘাটতি প্রকাশ পেয়েছে।
সিএজি রিপোর্ট (CAG report) অনুযায়ী, কোভিড (COVID ১৯) মহামারীতে কেন্দ্রের দেওয়া ৭৮৭.৯১ কোটি টাকার মধ্যে আপ সরকার মাত্র ৫৮২.৮৪ কোটি টাকা ব্যবহার করেছে। ২০১৬-১৭ থেকে ২০২১-২২ পর্যন্ত মোহল্লা ক্লিনিকের ‘দুরবস্থা’ও রিপোর্টে উঠে এসেছে। দিল্লি বিধানসভার স্পিকার বিজেন্দ্র গুপ্তা জানান, তিনি আবগারি নীতি নিয়ে সিএজি (CAG) রিপোর্ট পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটিতে পাঠিয়েছেন এবং তিন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত রিপোর্ট চেয়েছেন। তিনি বলেন, “আবগারি নীতিতে আপ (AAP) সরকারের গুরুতর অনিয়ম ধরা পড়েছে।”
এই রিপোর্টগুলো বিধানসভায় পেশ হওয়ায় আপ (AAP) ও বিজেপির (BJP) মধ্যে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। শাসক দলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জেরে একজন ছাড়া সব আপ (AAP) বিধায়ক তিন দিনের জন্য সাসপেন্ড হয়েছেন। বিজেপি অভিযোগ করছে, কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে দিল্লির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আপ এই অভিযোগকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে খারিজ করেছে। তবে, রিপোর্টে উঠে আসা তথ্য নিয়ে আলোচনা আরও জোরদার হওয়ার সম্ভাবনা।