সীমান্তে নিরাপত্তা আরও জোরদার! সেনাবাহিনী কিনেবে AK-630 বন্দুক

Indian Army

নয়াদিল্লি, ৭ অক্টোবর: পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষ এবং ধর্মীয় স্থানগুলির নিরাপত্তা আরও জোরদার করার জন্য, ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army) একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেনাবাহিনী ছয়টি নতুন AK-630 এয়ার ডিফেন্স বন্দুক কেনার জন্য একটি দরপত্র জারি করেছে। এই বন্দুকটি একটি 30 মিমি মাল্টি-ব্যারেল ফায়ারিং সিস্টেম, যা এক মিনিটে প্রায় 3000 রাউন্ড গুলি চালাতে পারে। 

Advertisements

সেনাবাহিনীর মতে, ড্রোন, রকেট, আর্টিলারি এবং মর্টারের মতো হুমকি মোকাবিলায় সীমান্তবর্তী এলাকায় এই বন্দুক ব্যবস্থা মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি বন্দুক একটি ট্রেলারে লাগানো হবে, যা প্রয়োজনে দ্রুত মোতায়েন করা সম্ভব করবে। এর পাল্লা প্রায় ৪ কিলোমিটার এবং এটি একটি সর্ব-আবহাওয়া ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত থাকবে, যা সকল আবহাওয়ায় লক্ষ্যবস্তু সনাক্ত করতে সক্ষম করবে।

   

মিশন সুদর্শন চক্রের অধীনে এই ক্রয় করা হচ্ছে
সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে এই ক্রয় করা হচ্ছে মিশন সুদর্শন চক্রের অধীনে, যা ২০৩৫ সালের মধ্যে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বহুস্তরীয় এবং দেশীয় করে তোলার পরিকল্পনা। এই মিশনের লক্ষ্য নজরদারি, সাইবার নিরাপত্তা এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও আধুনিকীকরণ করা।

AK-630M

Advertisements

প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করেছেন
স্বাধীনতা দিবসে এই অভিযানের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে, সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলেছেন যে, যদি কেউ ভারতের সীমান্ত লঙ্ঘন করে, তাহলে অপারেশন সিন্দুর ২.০-তে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না।

বিমানবাহী সক্ষমতা আরও জোরদার করা হবে
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মতে, এই দরপত্রটি অ্যাডভান্সড উইপন্স অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট ইন্ডিয়া লিমিটেড (AWEIL) কে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া শীঘ্রই সম্পন্ন হবে এবং বন্দুক ব্যবস্থা মোতায়েন করা হবে। সেনা সূত্রের খবর, এই নতুন এয়ার ডিফেন্স বন্দুকগুলি মিশন সুদর্শন চক্রের ভিত্তিপ্রস্তর হবে। এদের আগমন সীমান্তবর্তী এলাকায় ড্রোন এবং আকাশ হুমকির বিরুদ্ধে নিরাপত্তা আরও জোরদার করবে।

অপারেশন সিঁদুরের পর, সেনাবাহিনী এখন যেকোনো বায়ু হামলার জন্য প্রস্তুত থাকতে চায়। AK-630 এর মতো উচ্চ-ফায়ারিং বন্দুক ভবিষ্যতে ভারতের নিরাপত্তা ঢাল হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে।