ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া দিলেন সেনাপ্রধান

ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী আশা প্রকাশ করেছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফরের সময় স্বাক্ষরিত প্রতিরক্ষা চুক্তি ভারতের প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াবে এবং আত্মনির্ভরশীলতাকে…

Army Chief

ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী আশা প্রকাশ করেছেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফরের সময় স্বাক্ষরিত প্রতিরক্ষা চুক্তি ভারতের প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াবে এবং আত্মনির্ভরশীলতাকে শক্তিশালী করবে। তিনি বলেন যে আগামী ১০ বছরের জন্য একটি ব্যাপক পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে, যা যৌথ উৎপাদনকে উন্নীত করবে এবং ভারতীয় প্রতিরক্ষা শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

সেনাবাহিনীও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে: সেনাপ্রধান
নয়ডায় আয়োজিত একটি বার্ষিক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে সেনাপ্রধান জাতি গঠনে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভূমিকার ওপরও জোর দেন। তিনি বলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী শুধু নিরাপত্তা প্রদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, দেশের উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

   

দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার হবে
ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই বছর 2025 থেকে 2035 সালের জন্য একটি নতুন 10 বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করবে। এই চুক্তির ফলে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও সেবা বিনিময় সহজ হবে। এটি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করবে এবং ক্রয় প্রক্রিয়া আরও কার্যকর করবে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় তাদের দৃঢ় প্রতিরক্ষা সম্পর্ক পুনর্ব্যক্ত করেন। দুই নেতা অস্ত্র হস্তান্তর সহজতর করার জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাফিক ইন আর্মস রেগুলেশন (ITAR) সহ প্রতিরক্ষা বাণিজ্য বিধিগুলি পর্যালোচনা করতে সম্মত হন।

এই প্রতিরক্ষা চুক্তি প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্ব বাড়াবে। এছাড়াও, আমেরিকা থেকে প্রাপ্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। ভারত ইতিমধ্যেই ‘স্ট্র্যাটেজিক ট্রেড অথরাইজেশন (STA-1)’ মর্যাদা পেয়েছে এবং কোয়াডের সদস্য। এটি আমেরিকার সাথে তার প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও জোরদার করেছে।

আমেরিকা ভারতের সাথে নতুন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সংগ্রহ এবং সহ-উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে রয়েছে ‘জ্যাভলিন’ অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল এবং ‘স্ট্রাইকার’ পদাতিক যুদ্ধ যানের সহ-উৎপাদন। এছাড়াও, ভারত শীঘ্রই আরও ছয়টি P-8I সামুদ্রিক নজরদারি বিমান ক্রয় করবে, যা ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ভারতের নিরাপত্তা এবং নজরদারি ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।