ভারত বিরোধী জিগির তুলেও শেষপর্যন্ত ভারতে এলেন (Maldives president visit to India) মালদ্বীপের (Maldives) প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মইজ্জু (Muhammad Muizzu)। ৬ অক্টোবর থেকে আগামী ১০ অক্টোবর পাঁচদিন ভারতে থাকবেন মইজ্জু। বৈঠক করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। এছাড়াও মুম্বাই ও ব্যাঙ্গালুরুতেও একাধিক শিল্পপতিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। সেখানে মালদ্বীপে ভারতের বিনিয়োগ নিয়েও মইজ্জুর সঙ্গে কথা হতে পারে শিল্পপতিদের।
হরিয়ানা ও কাশ্মীরে বিপুল ভোটে এগিয়ে কংগ্রেসের ‘ইন্ডিয়া’, অস্তমিত ‘মোদী ম্যাজিক’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) শপথগ্রহনের সময় ভারতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সময় কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়নি তাঁদের। এবারই প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে ভারতে এলেন মইজ্জু (Muhammad Muizzu)। এই সফরে ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ইস্যু, বিনিয়োগ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে কথা হওয়ার কথা।
ট্রাম্পের হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন এলন মাক্স, ‘খেলা ঘুরছে’ চিন্তায় কমলারা
ভারত মহাসাগরে নয়াদিল্লির সমুদ্র নিরাপত্তার বিশেষ ‘সাগর’ পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী দেশ মালদ্বীপ। কিন্তু ২০২২ সালে ভারত বিরোধিতার জিগির তুলেই ক্ষমতায় এসেছিল মইজ্জু। ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপ রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েই দিল্লি বিরোধী সুর চড়িয়েছিলেন তিনি। মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় নৌসেনা সরাতে নয়াদিল্লিকে চাপ বাড়িয়েছিল মইজ্জু সরকার। এমনকী তাঁর দুই মন্ত্রী প্রকাশ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে আপত্তিজনক মন্তব্যও করেছিলেন।
মূলত চিনের উস্কানিতেই ভারতের বিরুদ্ধে তু তু ম্যায় ম্যায় শুরুন করেছিলেন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মইজ্জু। কিন্তু বছর ঘুরতেই টনক নড়ে ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রটির। একদিকে ভারত মালদ্বীপ বয়কট শুরু করায় ভাড়ের মা ভবানী হয়ে গিয়েছে মালদ্বীপের। তাই ভারতীয় পর্যটক টানতে কয়েক মাস আগেই ব্যাঙ্গালুরুতে ওয়েলকাম ইন্ডিয়া প্রচার শুরু করেছে মালদ্বীপের প্রশাসন।
তিনদিন পর উদ্ধার, হিমালয় পর্বতের আটকে পড়া বিদেশী দুই মহিলা পর্বতারোহী
দিন যত যাচ্ছে ব্যাপক আর্থিক সংকটে ভুগছে মালদ্বীপ (Maldives)। রীতিমতো দেউলিয়া হওয়ার দোরগোড়ায় ভারতের এই ছোট্ট প্রতিবেশি। গত কয়েকমাসে বিপুল পরিমাণ বন্ড বেচেও সংকট মোকাবিলার কূল-কিনারা খুঁজে পায়নি মহম্মদ মইজ্জুর প্রশাসন। যারফলে একসময় ভারত বিরোধিতার সুর চড়ালেও অবশেষে এখন নয়াদিল্লি সফরেই এলেন মালদ্বীপের (Maldives) প্রেসিডেন্ট। ভারতের সঙ্গে হঠাৎ করেই কেন ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চাইছে মালদ্বীপ? তার অন্যতম কারণ আর্থিক দুরবস্থা। গতবছর মইজ্জু ক্যাবিনেটের দুই মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। যারজেরে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল দুদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে। পরে সেই দুই মন্ত্রীকেই নিজের ক্যাবিনেট থেকে সরান মুহাম্মদ মইজ্জু।