চন্দ্রগ্রহণে অন্ধ্রপ্রদেশ? সরকারে আসার পরই চার খবরের চ্যানেল বেমালুম ভ্যানিশ!

অন্ধ্রপ্রদেশে এখন জরুরী অবস্থা জারি হয়েছে?(Angry Chandrababu Naidu) অন্তত সেরকমই মত অন্ধ্রের বিরোধী শিবিরের। রাতারাতি চারটি খবরের চ্যানেল বেমালুম হাওয়া হয়ে গিয়েছে দক্ষিণের রাজ্যটিতে। আর…

অন্ধ্রপ্রদেশে এখন জরুরী অবস্থা জারি হয়েছে?(Angry Chandrababu Naidu) অন্তত সেরকমই মত অন্ধ্রের বিরোধী শিবিরের। রাতারাতি চারটি খবরের চ্যানেল বেমালুম হাওয়া হয়ে গিয়েছে দক্ষিণের রাজ্যটিতে। আর এরপরেই সদ্য ক্ষমতা হারানো জগন্মোহন রেড্ডির দল আরও বেশ খানিকটা চাপে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ‘সাক্ষী টিভি’ নামের চ্যানেলটিও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপুল আর্থিক ক্ষতি হবার সম্ভাবনা। আর সেই ক্ষতি হতে পারে খোদ জগন্মোহন রেড্ডির পরিবারেরই। কারণ চ্যানেলটির মালিক খোদ রেড্ডি পরিবারই। আর তাতেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চাপানতোর।

লোকসভায় ঢুকতেই কংগ্রেস সাংসদের চোখে জল! কী এমন ঘটল?

   

সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের সাথেই বিধানসভা নির্বাচনেও ব্যাপক জয় পেয়েছে চন্দ্রবাবু নাইডু(Angry Chandrababu Naidu) এবং দক্ষিণী অভিনেতা পবন কল্যানের জোট। সেইসাথে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারেরও অন্যতম ভরসা এই নয়া জোট। কেন্দ্রের সরকারের টিকে থাকার চাবিকাঠি এখন নাইডু-কল্যান জুটির হাতে, এমনটাই দাবি অধিকাংশ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের। আর সেই কারণেই অন্ধ্রের নতুন সরকারের শপথ গ্রহনের পরপরই একরকম গা-জোয়ারী চলছে বলে অভিযোগ। যদিও ফলাফল প্রকাশের পরই গত ৬ই জুন এই চার চ্যানেলের ওপর কোপ পড়েছিল। কিন্তু একদিন বাদেই আবার সেই চ্যানেলগুলো কেবল পরিষেবায় ফিরে এসেছিল। কিন্তু এবারের এই ভ্যানিশ হওয়াটা কতদিনের জন্য, তা বলতে পারছেন না কেউই।

মোদীর ওপরে ভরসা না রেখে নিজেই ব্যবস্থা যোগীর! বুলডোজার চলবে পরীক্ষাতেও?

শুধু খবরের চ্যানেল নয়, রাতারাতি ভাঙা হয়েছে জগন্মোহনের ওয়াই এস আর কংগ্রেসের একটি পার্টিঅফিস। যদিও চন্দ্রবাবু সরকারের (Angry Chandrababu Naidu) পাল্টা অভিযোগ, সরকারে থাকার সময় ওই বিল্ডিংটি বেআইনি ভাবে তৈরি করেছিল জগন্মোহনের দল। ওদিকে চ্যানেল বন্ধ করা নিয়ে টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ট্রাই)-কে চিঠি দিয়েছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস। বিষয়টি বাক্‌স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলেও সরব হয়েছে তারা। প্রতিবাদ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রককেও। যদিও চন্দ্রবাবুর সরকারের তরফে এই অভিযোগ সরাসরি খারিজ করে জানানো হয়েছে, এ রকম কোনও নির্দেশ সরকার দেয়নি। মজার বিষয় যে এই মুহূর্তে রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী হয়েছেন চন্দ্রবাবুরই  ছেলে নারা লোকেশ।

জিও হাতছাড়া হতে পারে আম্বানিদের? মোদীর নতুন আইনে শঙ্কায় নেটওয়ার্ক কোম্পানিরা

সূত্র মারফৎ পাওয়া খবর অনুযায়ী, একটি টিভি চ্যানেলের এক কর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে কেব্‌ল অপারেটরেরা এব্যাপারে পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেন। তাদের বক্তব্য, এই চারটি চ্যানেলের প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে ‘অনিবার্য কারণবশত’। তবে সেটা কার নির্দেশে , তা তাঁরা বলতে চাননি। বিরোধী ওয়াইএসআর এবং কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি একে ‘সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় স্বেচ্ছাচারী হস্তক্ষেপ’ বলে অভিযোগ করেছে। রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী তথা চন্দ্রবাবুর ছেলে নারা লোকেশ সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর মতে এ সবের থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ তাঁদের রয়েছে।

তবে বেশ কিছু টিডিপি নেতারা নিজেদের ঘনিষ্ট মহলে নাকি মেনে নিয়েছেন ব্যপারটার সত্যতা। তাদের অনেকের মতে, জয়ের পরেও চন্দ্রবাবুর বিরোধিতা করেছিল ওই চ্যানেলগুলি। সে কারণেই চন্দ্রের কোপে গ্রহণ লাগল এই খবরের চ্যানেলগুলোতে।